বাংলাহান্ট ডেস্ক : উদয়পুরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের (Udaipur Beheading Case) ঘটনায় যারা অন্যদের বিশ্বাস করেন, তাঁদেরও চোখের ঠুলি খুলে গেছে। গতকাল কানাইয়ালালের নৃশংস খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Opposition Leader Suvendu Adhikari)। এদিন ট্যুইটারে (Tweet) তিনি লেখেন, উদয়পুরে নিহত ব্যক্তি কানাইয়ালালকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁর বিদেহি আত্মা যাতে চিরশান্তি পায়, তার জন্য প্রার্থনা করছি। তাঁর এই আত্মবলিদান ব্যর্থ যাবে না। তাঁর হত্যা সেই সমস্ত মানুষ যাঁরা সম্প্রীতি, অন্যদের বিশ্বাস করেন, তাঁদের চোখ খুলে দিয়েছে।
নিযুক্ত হলো NIA
জানা যাচ্ছে, উদয়পুরের হিংসাত্মক ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এনআইএ (NIA)-কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে খুশি শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার রাতে উদয়পুরের দরজি কানাইয়ালালের দোকানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথা কেটে নেয় দুই দুষ্কৃতি। নৃশংসতার এখনি অনেক বাকি। ভিডিও পোস্ট করে দুই দুষ্কৃতি জানায় তারা ইসলামের এবং পয়গম্বরের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছে। নিহত কানহাইয়াল বিজেপির নির্বাসিত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করার ‘অপরাধেই’ খুন বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা
এই ঘটনা ঘটার পরই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যেই সৃষ্টি হয় মারাত্মক উত্তেজনার। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা (Article 144)। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সংযোগ। একমাসের জন্য গোটা রাজ্যে জারি করা হয় কারফিউ। পুলিশ সূত্র খবর, প্রকাশ্য দিবালোকে কানাইয়ালালকে খুনের ঘটনা অনলাইনে পোস্ট করার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদিনই ঘটনার তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চার সদস্যের এনআইএ দলকে নিযুক্ত করেছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে সিটও।