বাংলা হান্ট ডেস্ক : নির্মম ভাবে প্রাণ গেছে এক শিশুর (Tiljala Minor Murder Case)। কিন্তু প্রতিবাদের নামে সারা দিন চলছে শুধুই তাণ্ডব! প্রশ্ন উঠছে, এটা কি শুধুই প্রতিবাদ, না কি, পিছনে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? তিলজলায় নাবালিকাকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার যা ঘটল তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এমনকি এই একই প্রশ্ন মৃতার পরিবারেরও। প্রতিবাদের নামে চলা বিক্ষোভে তাঁদের বিন্দুমাত্র সমর্থন ছিল না বলে পরিষ্কার জানাচ্ছেন ওই শিশুটির পারিবারের সদস্যরা। তা হলে বিক্ষোভের নামে দিনভর পুলিসের গাড়িতে আগুন, রেল অবরোধ-সহ এমন তাণ্ডব কেন চলল এলাকা জুড়ে?
বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয়রা প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এলাকায় যাতে এমন ঘটনার আর কখনও না হয়, তার জন্যই নৃশংস ওই কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু সেই আন্দোলন কিছু ক্ষণ পরেই হিংসাত্মক রূপ নেয়। শেষের দিকে প্রতিবাদের নামে যাঁরা রাস্তায় নেমে তাণ্ডব শুরু করেন, তাঁদের অনেককেই তাঁরা চেনেন না বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা। এমনকি, তাঁদের দাবি, অন্যান্য এলাকা থেকে বহিরাগত অনেকে এসে ওই তাণ্ডবে যোগ দেয়। যার পিছনে কোনও রাজনৈতিক মদত থাকতে পারে বলেই সন্দেহ এলাকাবাসীর। এমনকি, কসবা এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গীদেরও সোমবার ওই ঘটনাস্থলে দেখা যায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ‘দুপুরের পর থেকেই বিক্ষোভে ভিড় বাড়তে থাকে। হঠাৎই পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি থেকে ভাঙচুর, আগুন লাগানো শুরু হয়ে যায়। পিছনে রাজনৈতিক মদত না থাকলে এটা করা সম্ভব নয়।’ একই কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ মল্লিকও। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ রেল অবরোধের সময়ে একটি রাজনৈতিক দলের ধর্মীয় স্লোগান বারকয়েক শুনেছিলেন বলেও দাবি করছেন। এক স্থানীয় যুবক দাবি করেন, :আমরা বিচার চেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। এর মধ্যে ট্রেনের সামনে উঠে কয়েক জন হঠাৎ করে অন্য রকম স্লোগান দিতে শুরু করে।’
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন ওই শিশুর দাদুও। তিনি বলেন, ‘আমরা তো চাইনি যে, প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব হোক। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট, গাড়িতে আগুন— এ সব আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে তো নাতনিকে আর ফিরে পাব না। কেন, কারা এমনটা করল, জানি না। এ সবের জেরে আমাদের মেয়েটা শেষ বারের জন্য বাড়িতেও ফিরতে পারল না।’
অবশ্য প্রতিবাদের নামে রাস্তায় নেমে ঘটানো তাণ্ডবের সঙ্গে রাজনীতির নাম জড়িয়ে যাওয়া এর আগেও দেখেছে রাজ্য। শহরের একাধিক ঘটনায় আগেও বহু বার শাসক থেকে বিরোধী, সব পক্ষের নাম জড়িয়েছে।