বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহারে (Bihar) রাজনৈতিক পালা বদলের পরই বদলে গেছে সর্ব ভারতীয় রাজনীতির সমীকরণ। ২০২৪ সালের লোকসভায় গেরুয়া আগ্রাসনকে থামতে উঠে পড়ে লেগে সমস্ত বিরোধী দলই। বিজেপি বিরোধী শক্তি (Anti BJP Alliance) সামনে ঐক্যবদ্ধের কথা বললেও তা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না মোটেই। আম আদমি পার্টির (AAP) দাবি, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মূল লড়াই হবে কেজরিওয়ালের সঙ্গে। আবার জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) নিতিশ কুমার (Nitish Kumar) ৮ম বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দেখতে শুরু করেছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) এই লড়াইয়ে আছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
আর দুবছরেরও কম সময় রয়েছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বিরোধী শিবিরে এখন একটাই প্রশ্ন, কে হবে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী মুখ? মোদির সমকক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও মুখই নেই বিরোধী শিবিরে। প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার নাম শোনা যেত। এখন সেখানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নিতিশ কুমার এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামও যুক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি জনতা দল ইউনাইটেডের অধ্যক্ষ লালন সিংহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, নিতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী নন। তবে যদি বাকি বিরোধী দলগুলি একমত হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তিনি বিকল্প একটি নাম হতে পারেন। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে বিপক্ষ দলের অনুমতি দরকার নিতিশের। আর সেই উদ্দেশ্যে খুব শীঘ্রই তিনি দিল্লি যাবেন বলে জানা যাচ্ছে। নিতিশ কুমারের এখন প্রধান লক্ষ্যই হলো বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একজোট করা। এমনই দাবি করেছে জেডিইউ-এর শীর্ষ নেতৃত্ব।
অপরদিকে দিল্লি এবং পাঞ্জাব জিতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টি সেই উদ্দেশ্যে জোরদার করেছে তাদের সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানার পর ২০২৪ নির্বাচন নিয়ে জোরদার সওয়াল-জবাব করতে শুরু করেছে আম আদমি পার্টি। তাদের মধ্যে আগামী নির্বাচনে বিজেপির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বি তারাই।
এই একই অবস্থা দেখা যায় ২০১৯ সালেও। সেবারও বিজেপিকে ঠেকাবার জন্য মহাজোট গড়ার চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যায় শূন্য। প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার সবাই হতে চাইলেও এমন কোনও মুখ বিরোধী শিবিরে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে মোদি ম্যাজিককে বিফল করতে পারে। তাই ২০২৪ এর আগে বিরোধীরা কতটা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে তা কেবল সময়ই বলতে পারে।