বাংলা হান্ট ডেস্ক: এক কাপ চায়ের সাথেই হোক কিংবা খিদের সময়ে চটজলদি পেট ভরাতে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিস্কুটের (Biscuits) জুড়ি মেলা ভার। এমতাবস্থায়, বিস্কুট পছন্দ করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এদিকে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশ পরিবর্তিত হয়েছে বিস্কুটের স্বাদ এবং গঠনের। বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরণের বিস্কুট আমরা দেখতে পাই। যেগুলি স্বাদের ক্ষেত্রে একে অপরের থেকে আলাদা হয়।
পাশাপাশি, গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বর্তমান সময়ে মিষ্টি-টক-ঝাল-নোনতা থেকে শুরু করে ক্রিম বিস্কুটের মত সব ধরণের বিস্কুটই সর্বত্র উপলব্ধ থাকে। তবে, প্রতিটি বিস্কুটের ক্ষেত্রে স্বাদের তারতম্য পরিলক্ষিত হলেও গঠনগত দিক থেকে একটি সাদৃশ্য মোটামুটি সব ধরণের বিস্কুটের ক্ষেত্রেই খুঁজে পাওয়া যায়। মূলত, আমরা প্রত্যেকেই বিস্কুটের গায়ে বেশ কিছু ছিদ্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করি। প্রতিটি বিস্কুটেই ওই ছিদ্রগুলি করা থাকে। এমতাবস্থায়, সকলে ওই বিষয়টি লক্ষ্য করলেও ছিদ্রগুলি থাকার কারণটি অনেকেই জানেন না। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গটিই বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপিত করছি।
জেনে অবাক হবেন যে, বিস্কুটের গায়ে ওই ছিদ্র থাকার পেছনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ লুকিয়ে রয়েছে। এমনকি, ওই ছিদ্রগুলি না থাকলে বিস্কুটকে সঠিকভাবে তৈরিও করা যাবে না। মূলত, বিস্কুটের গায়ে থাকা এই বিশেষ ছিদ্রগুলির নাম হল “ডকার”। এগুলি গঠন অনুযায়ী বিস্কুটের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি করে। তবে, এগুলির আসল কাজ হল অন্য। উল্লেখ্য যে, বিস্কুট তৈরি সময়েই ওই ছিদ্রগুলি করে দেওয়া হয়।
প্রথমে বিস্কুট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ময়দা, জল, চিনি ও নুনের উপকরণ ছাঁচে দিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই “ডকার” তৈরি করা হয় মেশিনের সাহায্যে। বিস্কুট তৈরি করার সময় যাতে বিস্কুটের মধ্যে দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে পারে সেই কারণেই ওই ছিদ্রগুলিকে করে দেওয়া হয়। এমনকি যদি, “ডকার” না তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে বিস্কুট তৈরির সময়ে বিস্কুটের আকারও বদলে যেতে পারে।
আসলে, মেশিনে বিস্কুট তৈরির ক্ষেত্রে হাওয়া ঢুকে বেক করার সময় সেগুলি অত্যধিক গরমে ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমতাবস্থায়, বিস্কুটের গায়ে “ডকার” থাকার ফলে সেগুলি আর ফুলতে পারে না। পাশাপাশি, বিস্কুটের আকারও ঠিকঠাক থাকে। তাই, প্রথমেই মেশিনের সাহায্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে ওই ছিদ্রগুলি বিস্কুটের গায়ে করে ফেলা হয়।