বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণত কেউ কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করলে যোগদানের সময় তাঁর হাতে সেই দলের দলীয় পতাকা দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় দেখা যায় তাঁকে কেবল উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দলীয় পতাকা দেওয়া হয়নি অর্জুনের হাতে। কিন্তু কেন দলীয় পতাকা দেওয়া হল না ব্যারাকপুরের সাংসদের হাতে?
রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুকুল রায় তৃণমূলে আসার সময় তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছিল দলীয় পতাকা। সেই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এহেন অবস্থায় অর্জুন সিংয়ের ক্ষেত্রেও একই আইনি জটিলতা এড়াতে সুকৌশলে পতাকার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে ঘাসফুল শিবির।
তাঁদের আরও দাবি, দলবদল করলেও সাংসদ পদে এখনও ইস্তফা দেননি অর্জুন। ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে লোকসভায়। এভাবে অর্জুন সিংয়ের দল বদল নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা প্রশ্ন তুললে তখন এই বিষয়টিকে উত্তর হিসেবেই রেখেছে তৃণমূল এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।
বাবুল সুপ্রিম সাংসদ পদ ত্যাগ করেই এসেছিলেন তৃণমূলে। তাঁর মতে রাজনৈতিক পদ ছেড়ে অন্য দলে আসাটাই সৌজন্য। কিন্তু সেই পথে হাঁটেননি অর্জুন। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূলের দুই সাংসদ তো বিজেপি করছেন ৷ আগে ওরা সাংসদ পদ ছাড়ুন। আমি রেডি আছি, দল বললেই ছেড়ে দেব এই পদ।’ বলাই বাহুল্য, এই দুই তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আত্মীয়। এই অবস্থাতে ভবিষ্যতে দলের পিঠ বাঁচাতেই যে দলের পতাকার বিষয়টি এড়িয়ে গেল তৃণমূল তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন রাখে না।