বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’ (Ayushman Bharat Yojana) নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল সুপ্রিম কোর্ট। এই করোনা আবহের মধ্যেও ভারতের ৪ রাজ্যে কেন চালু করা হয়নি এই প্রকল্প, সেই নিয়ে ৪ রাজ্যকে নোটিশ জারী করল সুপ্রিম কোর্ট। এই রাজ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা এমনকি দিল্লীও।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প
‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’-এর আয়ত্তায় দেশের ৫০কোটি মানুষের জন্য বার্ষিক ৬৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পে ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা অবধি চিকিৎসা বিমার সুবিধা পেতে পারে। এই প্রকল্পের আয়ত্তায় মানুষজন যেকোন রকম চিকিৎসার সাহায্য থেকে শুরু করে বর্তমান মহামারির সংকটেও সাহায্য পাবে।
‘আয়ুষ্মান ভারত’ অপেক্ষা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প বেশি কার্যকরী
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) প্রশাসন এবিষয়ে দাবি করেছে, কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর থেকে বাংলার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প অনেক বেশি কার্যকরী। পাশাপাশি বাংলার উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণী সকলেই এখানে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই মমতা সরকার বরাবরই দাবি করে এসেছে, এ রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ চালু করার কোনও প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ করা হয়
বাংলার মতই দিল্লীর কেজরিওয়াল প্রশাসন, তেলেঙ্গানার কেসিআর প্রশাসন এবং ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক প্রশাসন তাঁদের রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’ চালু করেনি। পেরালা শেখর রাও নামে এক ব্যক্তির এই সকল অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারে জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃতত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়।
Supreme Court issues notice to Odisha, Telangana, Delhi and West Bengal after hearing a petition claiming non- implementation of Ayushman Bharat Yojana in these states.
— ANI (@ANI) September 11, 2020
আদালতে চলছে মামলার শুনানি
৪ রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানিতে মামলা আবেদনকারীর আইনজীবী হিতেন্দ্র রথ বলেছেন, ‘এই সকল রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’ প্রকল্পের সুবিধা না থাকায়, মানুষজন এই সংকটের দিনেও সরকারী হাসপাতালে যেতে না পেরে বাধ্য হয়ে বেসরকারী হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর অর্থ খরচ করে চিকিৎসা করাচ্ছেন’। তাই তাঁদের আবেদন, এই প্রকল্প দেশের এমনভাবে রূপায়িত করতে হবে, যাতে প্রতিটি নাগরিক এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। তবে আবার দু সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারন করা হয়েছে।