বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankar) ভাষণ দিয়ে আজ থেকে শুরু হবার কথা ছিল বিধানসভা অধিবেশন। কিন্তু দিনের শুরুটা মোটেই ভালো হলো না। আজ বিধানসভায় দুপুর ২:০৪ নাগাদ ভাষণ পাঠ শুরু করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কিন্তু শুরু থেকেই বাধাদান করতে থাকেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তাদের হাতে ছিল ভোট-পরবর্তী হিংসার পোস্টার এবং ছবি। এমনকি বিধানসভার ওয়েলেও নেমে আসেন বিধায়করা। কথা শুরু হয় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। এরপর ফের রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করলেও আবারও বাধাদান করতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। শেষ পর্যন্ত ২:০৮ মিনিটে নিজের ভাষণ শেষ না করেই বিধানসভা ত্যাগ করেন রাজ্যপাল।
কিন্তু কেন এ ধরনের বাধাদান করল বিজেপি? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণে সত্যতা ছিল না। উল্লেখ ছিল না ভোট পরবর্তী হিংসার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুরু থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। কিছুদিন আগেও জানা গিয়েছিল বিধানসভায় এই ইস্যুতে শাসক দলকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবেন তারা। সেই মতই আজ যেন প্রথম পদক্ষেপ নিলেন বিধায়পকরা।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখই ছিল না রাজ্যপালের ভাষণে। তৃণমূলের গুন্ডা ও নিষ্ক্রিয় পুলিশের ভূমিকার উল্লেখ নেই। সেই কারণেই আমরা বাধা দিয়েছি।’’ সাথে সাথেই তার বক্তব্য, রাজ্যে মানবাধিকার কমিশন এসেছে। প্রায় ন-হাজার এফআইআর হয়েছে। সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার।
তার পরিষ্কার বক্তব্য, ‘‘ভোট পরবতী হিংসা নিয়ে একটি লাইনও যদি ভাষণে লেখা হত, তদন্ত করার কথা বল হত, তবে আমরা দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালন করতাম।’’ তিনি এও বলেন রাজ্যের প্রায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে ভোট-পরবর্তী হিংসা কারণে। অত্যাচারিত হয়েছেন মহিলারাও। কিন্তু তার কোন উল্লেখও ছিলনা রাজ্যপালের ভাষণে।
যদিও রাজ্যপাল কেন ভাষণ শেষ করেননি তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি শুভেন্দু। তিনি জানান, রাজ্যের রাজ্যপাল একজন সংবেদনশীল ব্যক্তি। তাকে আটকাতেই লকডাউন করা হয়েছে। তিনি ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন।