বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হায়দ্রাবাদে নির্বাচনের টানটান উত্তেজনার মধ্যেই একটি মন্দির সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। এই ‘ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দির’ (bhagyalakshmi temple) কে নিয়ে সর্বস্তরেই চলছে নানারকম আলোচনা পর্যালোচনা। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই মন্দিরের ইতিহাস এবং বর্তমান নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এদিকে আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই মন্দিরের নামেই হায়দ্রাবাদের নাম ভাগ্যনগর রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।
হায়দ্রাবাদের ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দির
হায়দরাবাদের বিখ্যাত চার মিনারের (Char Minar) দক্ষিণ-পূর্ব টাওয়ার সংলগ্ন মন্দির হল এই ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত আছে, এই মন্দিরে নাকি মা লক্ষ্মীর বাস রয়েছে। বাঁশের খুঁটি এবং ত্রিপল দিয়ে এই মন্দিরের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। মন্দিররে পূজারি জানিয়েছেন, এই মন্দির প্রায় ৮০০ বছরের পুরনো। তবে এখনও এই মন্দিরের সঠিক নির্মান কাল সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
পাথরের টুকরো থেকেই দেবীর উৎপত্তি
মন্দিরের পুজারি জানিয়েছেন, ‘মন্দিরের জায়গায় আগে একটি পাথরের উপরে দেবীর ছবি ছিল। সেই থেকে ভক্তরা বছরের পর বছর ধরে ওই পাথর রূপী দেবীর আরাধনা করে আসছেন। ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরের বাইরে থেকে দেবীর পায়ের কাছে যে দুটি রৌপ্য অলঙ্কার দেখা যায়, তা আসলে ওই ভেঙ্গে যাওয়া পাথরের টুকরো। কিন্তু টুকরো পাথর পুজো করা যায় না বলে, প্রথম একটি ছবিকে পুজো করা হয়। আর এখন দেবীর একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে’।
প্রচুর ভক্ত আসেন এই মন্দিরে
হায়দ্রাবাদের চার মিনারের সঙ্গে থাকা এই মন্দিরে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর ভক্ত মায়ের পুজো করতে আসেন। দীপাবলির সময় মা লক্ষ্মীর দর্শন পেতে বহু ভক্ত এসে ভিড় জমান। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে নিষ্ঠা ভরে মায়ের পুজো করলে, জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। অনেকেই মনে করেন এই হায়দ্রাবাদের নাম পূর্বে ‘ভাগ্যনগর’ই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে গোলকান্দার কুতুব শাহী বংশের পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদ কুলী কুতুব শাহ, ভাগ্যনগরের নাম পরিবর্তন করে হায়দ্রাবাদ রাখেন।
হায়দ্রাবাদের বিজেপি সাংসদ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, হায়দ্রাবাদের এই চার মিনারের থেকেও বহু পুরনো এই ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দির। প্রায় ১৫৯১ সালে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।