বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকটি রাজ্যে বিএসএফ-এর (Border Security Force) আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বাড়ানোর পর মঙ্গলবার লোকসভায় (Lok Sabha) একটি বড় বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সরকার বলেছে যে বিএসএফের আঞ্চলিক এখতিয়ার বাড়ানোর উদ্দেশ্য অস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং জাল মুদ্রার চোরাচালান রোধ করা। সরকার জানিয়েছে যে, দেশ বিরোধী শক্তির দ্বারা ড্রোন, মনুষ্যবিহীন আকাশযান ইত্যাদি প্রযুক্তির ব্যবহার ঠেকাতে এই সম্প্রসারণ প্রয়োজন। আমাদের এই পদক্ষেপ বিএসএফ জওয়ানদের আরও শক্তিশালী করবে।
এটি লক্ষণীয় যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার জন্য বিএসএফ-এর এখতিয়ার বাড়ানোর জন্য একটি নতুন আদেশ জারি করেছে। যেখানে আগে বিএসএফের এই ক্ষমতাগুলি রাজ্য সীমান্তের মধ্যে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন সেগুলি ৫০ কিলোমিটারে বাড়ানো হয়েছে।
২ শে ডিসেম্বর রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছিলেন যে, বিএসএফ-এর এখতিয়ার বাড়ানোর উদ্দেশ্য হল, রাজ্য পুলিশের সঙ্গ এবং তাঁদের সহযোগিতা সীমান্তে অপরাধের উপর আরও ভাল এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রণের দিকে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তরফ থেকে সীমান্তে বিএসএফ-র এখতিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি পর্যন্ত করায় অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো যেমন পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ বিরোধিতা জারি করেছে। এমনকি বাংলার বিধানসভায় বিএসএফকে ১৫ কিমির মধ্যে আটকে রাখার জন্য একটি প্রস্তাবও পাশ করানো হয়েছে।
আর সেই প্রস্তাব পেশের দিনে রাজ্যের বিধানসভায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়ক উদয়ন গুহ বিএসএফকে নিয়ে তুমুল বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। উদয়নবাবু বলেছিলেন, BSF তল্লাশি চালানোর নামে মহিলাদের যৌনাঙ্গে হাত দেওয়ার মতো অপরাধ করে। শুধু উদয়ন গুহই নন, অপর্ণা সেনের মতো বিদ্বজনেরাও BSF-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন।