বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইনি লড়াইয়ে হল না জয়। আসন্ন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় স্টল পেল না বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad)। শুক্রবার ওই সংগঠনের আর্জি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রকাশিত পত্রিকায় স্পর্শকাতর বিষয়ে লেখা হয়। এবং তা বিতর্কিত। এই যুক্তি দেখিয়ে আসন্ন বইমেলায় এবার তাদের স্টল দেয় নি ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’ (Guild)। এই নিয়ে মামলা হলে হাইকোর্ট সংগঠনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু কেন?
যা জানাল হাইকোর্ট- Calcutta High Court
সংগঠনের প্রশ্ন, অন্যান্য বছরে তাদের স্টল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, এবার কেন দেওয়া হল না? তাহলে কি রাজ্য সরকারের আপত্তি বলেই তা খারিজ হল? বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, এবারে তাদের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি বেআইনি। যদিও রায় দেওয়ার সময় হাইকোর্ট স্পষ্টই জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে স্টল না দেওয়ায় বিষয়টির সঙ্গে রাজ্য সরকারের ইচ্ছে বা অনিইচ্ছের কোনও যোগ নেই।
কেন গিল্ডের আপত্তি? আদালতে গিল্ড জানায়, ২০২৪ সালে তারা রেজোলিউশন নেয় যে কোন সংগঠনকে তারা আর স্টল দেবে না। যেহেতু গিল্ড আয়োজক, তাই তাদের সিদ্ধান্তের ওপর আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। জাস্টিস সিনহার কথায়, আয়োজনদের বক্তব্যকেই মান্যতা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’ (Guild)। গিল্ডকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী আদালতে জানান, একাধিক শর্ত দিয়ে গিল্ডের তরফ থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত শর্ত মেনে পরিষদের তরফে ৬০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার কথা বলা হয়। গত ১০ জানুয়ারি নাগাদ ইমেল মারফত গিল্ডের কাছে এই নিয়ে পরবর্তী আপডেট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে গিল্ডের তরফ থেকে সংগঠনকে কিছু জানানো হয়নি বলে আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।
আরও পড়ুন: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি! বিরাট নির্দেশ দিল ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
সেই সময় আদালতে গিল্ডের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কোনও পাবলিশার্স বা বই বিক্রেতা নয়। ‘বিশ্ব হিন্দু বার্তা’ই হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই নামেই আবেদন জানানো হয়েছে। গিল্ডের আইনজীবী ‘যুক্তি’ দিয়ে বলেন, ওই সংগঠনের প্রতিবেদন বা বইয়ের লেখা যথেষ্ট সেন্সিটিভ এবং কন্ট্রোভার্সিয়াল। আর গিল্ড কোনও বিতর্ককে সমর্থন করে না। শেষমেশ তাদের সিদ্ধান্ততে কোনো হস্তক্ষেপ করল না আদালত।