বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) দলীয় বৈঠকে আমরা আগেও দেখেছি মেজাজ হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তবে এবার নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার, এমনকি সাংবাদিকদেরও গালিগালাজ করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র।
বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই মেজাজ হারালেন মহুয়া মৈত্র
সামনেই নির্বাচন, এই সময় উঠে পড়ে লেগেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। দলকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে দলীয় কর্মীদের নিয়ে নানারকম বৈঠক পর্যালোচনা। তবে নতুন ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর থেকে জেলার সমস্ত বুথ কর্মীদের নিয়ে প্রতি মাসে এক এক জায়গায় সভা করছেন মহুয়া মৈত্র। গয়েশপুরের কর্মীদের নিয়ে সুকান্ত সদনে রবিবার মহুয়া মৈত্র দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই মেজাজ হারালেন তৃণমূল সভানেত্রী।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসতে বাধ্য হয়
বিষয়টা হল, গয়েশপুরের দলের নতুন সভাপতি পদে নির্বাচন করা হয়েছে কল্যাণীর বাসিন্দা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে। এই নিয়েই দলের একাংশের মধ্যেকার ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয় মহুয়া মৈত্রের সামনে। পরিস্থিতি এতোটাই জটিল হয়ে পড়ে যে, মহুয়া মৈত্র গাড়ী থেকে নামার পর্যায়ে ছিল না। এমনকি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
“2 paisa media”!
Outrageous choice of words by Trinamool MP Mahua Moitra. Shows her scant regard for the 4th pillar of Democracy!
This is how leaders of an unpopular regime, fearful of electoral drubbing, try to scare down independent media. pic.twitter.com/nRhNzeWRuJ
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) December 6, 2020
আক্রমণ করলেন সংবাদ মাধ্যমকে
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিজের মেজাজ সংযত রাখতে পারলেন না তৃণমূল সভানেত্রী। দলীয় কর্মী এবং সাংবাদিকদের উপর মেজাজ চড়িয়ে প্রয়োগ করলেন নানান আপত্তিকর ভাষা। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের আক্রমণ করে বলেন, ‘এই দু পয়সার প্রেসকে কেন মিটিং-এ ডাকো? সরাও প্রেসকে এখান থেকে। কেন প্রেস ডাকো তোমরা দলের মিটিং-এ? বৈঠক হচ্ছে বলেই, সবার টিভিতে পেপারে মুখ দেখানোর এত শখ’।
কটাক্ষ করল বিজেপি
মহুয়া মৈত্রের এই বক্ত্যবের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে তাঁকে নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর তাঁর কোন শ্রদ্ধা নেই। মহুয়া মৈত্রের শব্দচয়ন অত্যন্ত আপত্তিকর’।