শুভেন্দু-মুকুল কেন নাগালের বাইরে, প্রথমবার প্রতিক্রিয়া দিল সিবিআই

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২৪ ঘণ্টা আগে এতক্ষণে রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। কারণ সোমবার সকাল পৌনে নয়টা নাগাদ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সিবিআই। পাশাপাশি রাজ্যে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র আর কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করে সিবিআই।

তৃণমূলের তিন বিধায়ক-মন্ত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলে শাসক দল। তাঁরা অভিযোগ করে এও বলে যে, বিজেপি বাংলার নির্বাচনে হেরে গিয়ে সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিচ্ছে। এরপরই তাঁরা দাবি করে যে, যেই অপরাধে এঁরা চারজন গ্রেফতার হয়েছে, সেই একই অপরাধ করে শুভেন্দু অধিকারী আর মুকুল রায় কেন জেলের বাইরে?

তৃণমূলের তরফ থেকে এও অভিযোগ করা হয়েছে যে, ওঁরা বিজেপি করে বলেই ওদের ছাড় দিয়ে রেখেছে। বিজেপির ওয়াশিং ম্যাশিনে ঢুকে ওঁরা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। তবে তৃণমূলের অভিযোগের মধ্যে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে। সিবিআই সুত্র অনুযায়ী, নারদ কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। শুভেন্দুকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটও পেশ করতে চায় সিবিআই। ২০১৯-এ লোকসভার স্পিকারের কাছে চার্জশিট পেশ করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন চাওয়া হলেও এখনও তা মেলেনি।

শুধু শুভেন্দু অধিকারীই না, তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ২০১৯ এ চার্জশিট পেশ করে আইনি প্রক্রিয়া চালানো অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল, যা এখনও মেলেনি। ২০১৯-এর ৬ এপ্রিল স্পিকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এরপর সেই বছরের ১৯ আগস্ট এবং ১৬ সেপ্টেম্বর স্পিকারের কাছে তাগাদা করা হয়। কিন্তু তাতেও অনুমোদন মেলেনি।

Arrest warrant issued in Trinamool leader vinay mishra, CBI search him

তবে শুভেন্দু না হয় গেল, মুকুল রায়কে নিয়ে কি সমস্যা? CBI জানিয়েছে যে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। মুকুল রায়কে নারদ স্ট্রিং অপারেশনে ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে টাকা নিতে দেখা যায় নি। স্যামুয়েল গতকালও বলেছিলেন যে, শুভেন্দুকে আমি টাকা দিয়েছি। কিন্তু মুকুল রায় আমার থেকে টাকা নেন নি। স্যামুয়েল বলেন, মুকুল হয়ত আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার থেকে টাকা নিয়েছিলেন। তবে আমার থেকে নেন নি।

X