বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমানে সবথেকে সফল টলিউড সুপারস্টারদের মধ্যে অন্যতম দেব (Dev)। নব্বইয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের প্রিয় নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বেশিরভাগ স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের মুখে মুখে ঘুরত দেবের নাম। ‘আই লাভ ইউ’, ‘মন মানে না’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘পাগলু’র মতো সব ছবি সে সময়ে বক্স অফিসে রাজত্ব করছে। কিন্তু এত জনপ্রিয় একজন নায়কের আসল নাম কী তা আরো পরে জানতে পেরেছিল বেশিরভাগ মানুষ।
দীপক অধিকারী (Deepak Adhikari), এটাই আসল নাম দেবের। এখন অবশ্য এই তথ্যটা জানতে বাকি নেই কারোরই। পিতৃদত্ত নাম নিয়েই কিন্তু অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ছবি করেছিলেন দীপক নামেই। তারপর সেটা বদলে বা কাটছাঁট করে বানিয়ে নেন দেব। নাম বদলের সঙ্গে সঙ্গে কেরিয়ারেও জোয়ার আসে তাঁর। কিন্তু তাঁর নাম বদলানোর কারণ কী ছিল?
১৯৮২ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঘাটালের কেশপুরে জন্ম হয় দীপক অধিকারীর। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে দীপক অবশ্য থাকতেন নিজের মামাবাড়ি চন্দ্রকোণায়। পরবর্তীকালে নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে তিনি পাড়ি দেন মুম্বইতে। ভর্তি হন বান্দ্রার পুরুষোত্তম হাইস্কুলে। মুম্বইতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজ ছিল তাঁর বাবার। পড়াশোনা শেষ করে বাবার সঙ্গে কাজেও ঢুকেছিলেন দীপক।
যদিও অভিনয়ের স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল তাঁর চোখে। কিশোর নমিত কাপুর অ্যাক্টিং অ্যাকাডেমি থেকে অভিনয়ের কোর্সও করেছিলেন তিনি। বলিউডের কাজকর্ম সামনে থেকে দেখলেও নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করতে টলিউডে পা রাখেন তিনি। ২০০৬ সালে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘অগ্নিশপথ’ ছবির হাত ধরে অভিনয়ে ডেবিউ তাঁর। তখনো তিনি দীপক অধিকারী নামেই পরিচিত।
কিন্তু নামটা তেমন নজরকাড়া ছিল না। আর কে না জানে, অভিনয় জগতে নজর টানতে হলে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নামটাও হওয়া চাই মডার্ন। টলিউডে এমন উদাহরণ কম নেই। অগ্নিশপথ বক্স অফিসে মাথা তুলতে পারেনি। এরপরেই নিজের নাম বদলান তিনি। দীপক থেকে হয়ে যান দেব আর এই নামেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ইন্ডাস্ট্রিতে। যদিও খাতায় কলমে এখনো দীপক অধিকারী নামটাই অফিশিয়াল রয়েছে দেবের।