বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আজ সারাদেশের শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপচারিতায় বসেছিলেন। দিল্লির ভারত মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা। সেখান থেকেই সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ার মাধ্যমে এই আলোচনায় যোগ দেয়। সেখানেই নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করে তোলে তারা। নিজেদের সমস্যার কথাও জানায় এই শিশুরা।
আলাপচারিতা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এইসব শিশুদের বোঝালেন যে, ‘আপনাদের পরীক্ষা যোদ্ধা হতে হবে, পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়।’ একই সাথে প্রধানমন্ত্রী মোদী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধের উদাহরণ তুলে এনে বোঝালেন যে, কীভাবে সাহসের সাথে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয়।’
পরীক্ষা নিয়ে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী এটাও জানালেন যে, করোনা পিরিয়ডের সময় মানুষকে থালি বাজাতে কেন বলেছিলেন তিনি? কেন তিনি করোনা যোদ্ধাদের নামে মানুষকে প্রদীপ জ্বালাতে বলেছিলেন? কোভিড অতিমারির দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গেল থালা বাজানোর আসল কারণ।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তিনি এটা খুব ভালোভাবেই জানেন যে, প্লেট বাজানো বা বাতি জ্বালানোর ফলে করোনা থেকে মুক্তি মিলবে না। এটা করোনা ভাইরাসকেও তাড়াবেনা। তবে করোনার বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতেই এই কাজ করতে বলেছিলেন তিনি। সারা দেশের মানুষ যখন একই সঙ্গে থালি বাজিয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে প্রদীপ জ্বালাতেন, তখন তা সবার মধ্যে একতার অনুভূতি তৈরি করত।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, করোনার বিরুদ্ধে একা লড়ছেন না। করোনা মোকাবিলা করছে গোটা দেশ। সবাই মিলে যুদ্ধ করলে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এইদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী। সারা বিশ্ব তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি চাইলেও বলতে পারতাম, আমি কী করতে পারি? কিন্তু আমি তা করিনি। আমি ভেবেছিলাম আমি একা নই। দেশে ১৪০ কোটি মানুষ। সবাই মিলে এর মোকাবিলা করলে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠব। তাই টিভিতে আসতে থাকলাম। তাই পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, কখনই আতঙ্কিত হবেন না। আমাদের এর মুখোমুখি হতে হবে এবং বিজয়ী হতে হবে।’