বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি হলেন নেইমার (Neymar)। তিনি মাঠে নামলেই গ্যালারি জুড়ে শুরু হয় চিৎকার। হাজার হাজার তরুণ আজও তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। তবে বেশ কয়েকমাস হয়ে গেল নেইমার মাঠের বাইরে রয়েছেন। চোট পাওয়ার কারণেই বলা যায় মাঠে খেলতে নামছেন না। কিন্তু এরই মাঝে দেখা গেল ফুটবলারের অন্য রূপ। হঠাৎই কেঁদে ফেললেন নেইমার।
হঠাৎ কেন কেঁদে দিলেন নেইমার (Neymar):
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে আল হিলালে যোগ দেন তিনি। সৌদি আরবের ক্লাবটির হয়ে ৭ টি ম্যাচ খেলেছেন নেইমার (Neymar)। তবে পরবর্তীতে আল হিলালের কর্তৃপক্ষ নেইমারকে রাখতে চাননি। তাই তিনি ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলার ক্লাব স্যান্টোসে। বার্সেলোনায় খেলার আগে তিনি স্যান্টোসের হয়েই খেলতেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যান্টোসের জুনিয়র দলের সদস্য ছিলেন। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ক্লাবের জ্যেষ্ঠ পর্যায় খেলেন নেইমার। তারপর সেখান থেকেই বার্সেলোনায় প্রবেশ। কিন্তু আবারও সেই ঘুরে ফিরে তাঁকে ছোটবেলার ক্লাব স্যান্টোসে ফিরতে হল।
O choro que emocionou uma Vila Belmiro inteira. SENTIMENTO! #ThePrinceIsBack pic.twitter.com/IEjp1mVAjQ
— Santos FC (@SantosFC) February 1, 2025
জানা গিয়েছে, স্যান্টোস ক্লাবে আপাতত ৬ মাসের জন্য চুক্তি হয়েছে তাঁর। শুক্রবার সেই চুক্তির সই হয়। আর চুক্তি সইয়ের পর নেইমারকে (Neymar) সদস্য হিসেবে সমর্থকদের সামনে নিয়ে আসে স্যান্টোস ফুটবল ক্লাব। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় বলে জানা গিয়েছে। আর ক্লাবে ফিরেই নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। একপ্রকার কেঁদেই দিয়েছেন সকলের সামনে।
আরও পড়ুন: ছবি পিছু পারিশ্রমিক লাখ লাখ টাকা, তবুও টালিগঞ্জের রাস্তায় ভিক্ষে করতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে! কেন?
সূত্র মারফত জানা যায়, সেদিন জার্সিতে ক্লাবের লোগোয় চুমু খেয়েই কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁর কান্না যেন থামতেই চাইছিল না। কান্না লুকাতে নেইমার (Neymar) নিজের মুখ লুকিয়ে নেন। বলা যায়, ছোটবেলার ক্লাবে ফিরতে পেরে যেমন আনন্দিত হয়েছেন, সেইসঙ্গে চোখে জলও চলে আসে তাঁর। আর সেই মুহূর্তের পোস্টই ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এমনকি পোস্টে উল্লেখ করা রয়েছে, “The Prince Is Back”।
আরও পড়ুন: শান্তি নেই! সীমান্তে এবার এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে চিন, ফের উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের
স্যান্টোসের সহ-সভাপতি ফার্নান্দো বোনাবিদাস বলেছেন যে, “আপাতত ছ’মাসের চুক্তি হয়েছে। তবে নেইমার (Neymar) যাতে আমাদের সঙ্গেই থাকে, তার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করব আমরা। আশা করি, আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেইমারকে রাখতে পারব।” বলা যায় দল যেমন পুরনো সদস্যকে ফিরে পেয়েছে, তেমনই নেইমারের তাঁর ছোটবেলা স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন।