বাংলা হান্ট ডেস্ক: আলিগড়ের ২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ইতিমধ্যেই ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, গত বছরের IPL (Indian Premier League)-এ ১ ওভারে ৫ টি ছক্কা মেরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি তাঁর দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলেও (India National Cricket Team)।
শুধু তাই নয়, তিনি ভারতীয় T20 দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হলেও মঙ্গলবার ঘোষণা করা T20 বিশ্বকাপের দলে সুযোগ ঘটেনি রিঙ্কুর। শিবম দুবেকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও রিজার্ভ খেলোয়াড়দের তালিকায় রিঙ্কু পেয়েছেন স্থান। এমতাবস্থায়, একটি বিষয় উঠে আসছে। মূলত, IPL-এ “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার”-এর নিয়মের জন্য প্রভাবিত হতে পারেন রিঙ্কু।
কারণ, এই নিয়মের মাধ্যমে ম্যাচে ১২ জন খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পান। যার ফলে, পাওয়ার হিটার রিঙ্কু ক্রিজে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পাননি। এদিকে, IPL-এর চলতি মরশুমের প্রথম ১০ টি ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ক্রিজে বেশি সময় কাটানোর কারণে শিবম দুবে খেলারও সুযোগ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘোষণা হলেও নয় চূড়ান্ত? T20 বিশ্বকাপের জন্য এখনও বদলাতে পারে টিম ইন্ডিয়া! নিয়ম রয়েছে ICC-র
“ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার”-এর নিয়মের জেরে হল ক্ষতি: জানিয়ে রাখি যে, BCCI-এর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, “এখানে কোনো সন্দেহ নেই যে রিঙ্কু ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার” নিয়মের মূল্য দিয়েছেন। স্পষ্টতই এটা তাঁর দুর্ভাগ্য। হার্দিক হয়তো ফর্মে নেই। কিন্তু তিনি এখনও ভারতের সেরা ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার এবং তাঁকে বাদ দেওয়া ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কারণ, তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বোলিং করেছেন।”
আরও পড়ুন: ৭ জন খেলোয়াড় “আউট”! ২০২২-এর T20 বিশ্বকাপের পর কতটা বদলেছে টিম ইন্ডিয়া?
কিভাবে প্রভাব ফেলছে “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার”-এর নিয়ম: IPL-এ কলকাতা নাইট রাইডার্স রিঙ্কুকে ফিনিশারের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে। এমতাবস্থায়, রিঙ্কু কখনোই প্রথম পাঁচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। সিলেকশনের আগে আগে ৮ ইনিংসে, তিনি খেলেছিলেন মাত্র ৮২ বল। অর্থাৎ, প্রতি ইনিংসে প্রায় ১০ বল। দলের হয়ে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে, অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সাথে অঙ্গাকৃশ রঘুবংশী বেশিরভাগ ওভার খেলেন। এমন পরিস্থিতিতে, রিঙ্কুর খুব বেশি পারফরম্যান্স প্রদর্শনের সুযোগ ছিল না। তবে, রিঙ্কুকে প্রমোট না করার জন্য KKR শিবিরকেও দোষ দেওয়া যায় না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে শ্রেয়স এবং ভেঙ্কটেশ জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দাবিদার ছিলেন না।