বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘ওয়াজাহ তুম হো’ ছবিটির কথা সিনেপ্রেমীদের মনে আছে নিশ্চয়ই? প্রেম, রহস্য, যৌনতার মেলবন্ধনে বলিউডে বেশ সাড়া ফেলেছিল ছবিটি। সেই ছবিতেই দেখা গিয়েছিল সানা খানকেও (Sana Khan)। আজো ইউটিউবে খুঁজলে পাওয়া যাবে ওই ছবির গানের ভিডিওগুলি। কিন্তু ওই সানার সঙ্গে এখনকার সানার মিল যদি খুঁজতে যান, তবে আপনিই ধোঁকা খেয়ে যাবেন। দুজনে কার্যত আলাদা মানুষ হয়ে গিয়েছেন।
হিন্দি টেলিভিশনের বেশ জনপ্রিয় নাম সানা খান। বিগ বসেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বড়পর্দায় তাঁর ডেবিউ হয়েছিল একটি কম বাজেটের অ্যাডাল্ট ফিল্ম দিয়ে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করেছেন তিনি। তবে সানা আলাদা ভাবে নজর কাড়েন ‘ওয়াজাহ তুম হো’ ছবির পর। বরাবরই সাহসী এবং বোল্ড বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। আর এই ছবিতে আরোই খোলামেলা রূপে দেখা মিলেছিল তাঁর।
প্রাক্তন প্রেমিক মেলভিন লুইসের সঙ্গে বিচ্ছেদের তিক্ততার জেরেও চর্চায় উঠে এসেছিলেন সানা। তারপরেই হঠাৎ চমক। ২০২০ সালে যখন লকডাউনের গেরোয় মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আচমকা বোমা ফাটান সানা। বলিউড তথা অভিনয় জগৎকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। বদলে বেছে নিচ্ছেন ধর্মের পথ। সেই পথেই হেঁটে আল্লাহর কাছে পৌঁছাবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
ধর্মের পথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা করার পরপরই নিকাহও সেরে ফেলেন সানা। কিন্তু হঠাৎ এতটা মত পরিবর্তন হল কীকরে তাঁর? অভিনয় জগৎ ছাড়ার কথা ঘোষণা করে সানা লিখেছিলেন, “এই জীবন আসলে মৃত্যুর পরের জীবনকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্যই সৃষ্ট। আর সেটা তখনি সম্ভব যখন মানুষ নিজের জন্মদাতার হুকুম অনুসারে জীবন যাপন করে ও শুধুমাত্র ধন সম্পত্তির কথা চিন্তা না করে। বরং অন্যায়ের জীবন ত্যাগ করে মনুষ্যত্বের সাধনা করে। তাই আমি আজ ঘোষনা করছি নিজের শোবিজের জীবন ছেড়ে মনুষ্যত্বের সাধনা ও নিজের জন্মদাতার হুকুম পালন করব।”
পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে সানা জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের রমজান মাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেছিলেন। তখন প্রায়ই স্বপ্ন দেখতেন, জ্বলন্ত কবরে শুয়ে রয়েছেন তিনি। ওই স্বপ্ন দেখার পরেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলায় সানার। আল্লাহর দেখানো পথে চলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।