বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাত্র তিন বছর হয়েছে বলিউডে পা রেখেছেন সারা আলি খান (sara ali khan)। অথচ খুব কম সময়ের মধ্যেই সিনেপ্রেমীদের একটা বড় অংশকে নিজের অনুরাগী বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। যতটা না নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে, তার থেকে বেশি নম্র ও মিষ্টি স্বভাবের জন্য সকলে আরো ভক্ত হয়ে উঠছেন সারার। তাঁর আরেকটি বড় গুণ হল, তিনি সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী।
জন্মসূত্রে সারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী। মা অমৃতা সিংয়ের কাছেই ছোট থেকে ভাই বোন মানুষ হলেও বাবা সইফ আলি খানের পদবীই ব্যবহার করেন সারা ইব্রাহিম। কিন্তু মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও প্রায়ই মন্দির, গুরুদ্বারায় যেতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। তাঁর প্রথম ছবি কেদারনাথ। সেখানে একাধিক বার তো গিয়েছেনই, এছাড়া কাশী বিশ্বনাথের মন্দির, উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরেও দর্শন করে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে সারাকে।
অভিনেত্রী জানান, যেখানেই তিনি ইতিবাচক শক্তি অনুভব করেন সেখানেই যান। সেটা মন্দির হোক বা মসজিদ হোক কিংবা গুরুদ্বারা। যদিও এর জন্য সমালোচনাও কম সইতে হয় না সারাকে, কিন্তু সে সবে বিশেষ পাত্তা দেন না তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শাহরুখ খান নিজের সন্তানদের গীতা, কোরান, বাইবেল তিনটি ধর্মগ্রন্থই পড়িয়েছেন। সারা নিজে মহাকাল মন্দির দর্শন করেছেন। কতটা ধার্মিক তিনি?
সারা জানান, তিনি ধর্মের জন্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যের জন্য যান। তিনি শক্তির ভক্ত। সেটা মন্দির থেকেই পান, বা গুরুদ্বারা থেকে কিংবা শুটিং সেটে মানুষের মাঝে। ইতিবাচক শক্তি পছন্দ করেন সারা। তাই কখনো মন্দির, কখনো মসজিদ কখনো গুরুদ্বারায় ঢুঁ মারেন তিনি।
ইতিমধ্যেই বহু ধর্মীয় স্থান ঘুরে ফেলেছেন সারা। তালিকায় রয়েছে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, কামাখ্যা মন্দির, উজ্জ্বয়িনীর মহাকাল মন্দির, রাজস্থানের মেওয়াড়ের শ্রীকলিঙ্গ নাথজির মন্দির, উদয়পুরে নীমচ মাতা মন্দিরও দর্শন করেছেন তিনি।