বাংলা হান্ট ডেস্ক: কমবেশি সকলেই প্রায় সাইকেল (Cycle) চালিয়ে থাকেন। বিশেষ করে, পড়ুয়াদের চলার সঙ্গী হচ্ছে এই সাইকেল। শুধু তাই নয়, কলেজ থেকে শুরু করে অফিস অনেকেই যাতায়াতের জন্য ভরসা করেন সাইকেলের উপর। কেউ কেউ তো আবার, এই ছোট্ট দুই চাকার যানে চড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে সাইকেলের বিভিন্ন রকমের ডিজাইন, বিভিন্ন রকমের রং এনে আরো সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করবেন জেন্টস সাইকেলে সামনে রড থাকলেও লেডিস সাইকেলে তা থাকেনা। জানেন কেনো এমনটা হয়?
কেনো লেডিস সাইকেলের (Cycle) সামনে রড থাকে না?
লেডিস সাইকেল এবং জেন্টস সাইকেলের মধ্যে রং থেকে শুরু করে ডিজাইন সবেতেই বিচিত্রতার ছাপ দেখা যায়। বিশেষ করে, মহিলাদের সাইকেলের (Cycle) সামনে রড থাকে না। না এটা যে বর্তমানের আধুনিক ডিজাইন তা কিন্তু নয়। বহু বছর ধরেই এমনটাই হয়ে আসছে। পুরুষদের সাইকেলের সামনে রড রাখার অন্যতম কারণ হচ্ছে সিট মজবুত করা। উল্টোদিকে, মহিলাদের সাইকেলের ক্ষেত্রে সেই রড নিচের দিকে রাখা হয়। মূলত মহিলাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এমনভাবে সাইকেল তৈরি করা হয়।
এই রডের কারণে ঠিক কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয় মেয়েদের? অনেক সময় মহিলারা শাড়ি, স্কার্ট, ফ্রক ইত্যাদি পড়ে সাইকেল চালিয়ে থাকেন। আর সাইকেলের (Cycle) সামনে এই রড থাকলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কারণ এমন বস্তু থাকার কারণে পোশাক উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সাইকেলের সামনে রড থাকার কারণে অনেক সময় মহিলাদের চালাতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন করতে হয়। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই লেডিস সাইকেলের সামনের রড রাখা হয় না।
আরও পড়ুনঃ ঘনাচ্ছে রহস্য! ওসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! মমতাকে চিঠি মন্দারমণিতে ‘নিহত’ TMC নেতার স্ত্রীর
তবে যাতে সিট মজবুত থাকে তার জন্য লেডিস সাইকেলের (Cycle) নিচে পরপর দুটি রড থাকে। নিচের দিকে রড থাকার কারণে মহিলাদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং সাইকেলের মজবুত দুই রক্ষা করা হয়ে যায়। যদিও বর্তমানে কম সংখ্যক মহিলারাই শাড়ি, স্কার্ট পড়ে সাইকেল চালান। পোশাকের পরিবর্তন আসলেও যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে এই ডিজাইন মাথায় রেখে লেডিস সাইকেল বানানো হচ্ছে তাই আর পরিবর্তন আনা হয়নি।
সাইকেল চালালে কি কি উপকার পাওয়া যায়: লেডিস এবং জেন্টস সাইকেলে (Cycle) গঠনগত পার্থক্য থাকলেও উভয়ের জন্যই সাইকেল চালানো কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইকেল চালালে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ব্যায়াম হয়ে যায়। বিশেষ করে এই কারণে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসে, পায়ের পেশি মজবুত হয়। শুধু তাই নয় একই সাথে সাইকেল চালানোর সময় এন্ড্রোফিন হরমোন সঠিকভাবে ক্ষরণ হয়। এতে করে মন-মেজাজ ভালো থাকে। পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুঁকি কয়েকগুণ কমে যায়।