বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (All India Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। আর কমিশনের তরফ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরণায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Election Commission of India imposes a ban of 24 hours on West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee from campaigning in any manner from 8 pm of April 12 till 8 pm of April 13 pic.twitter.com/FFNL2KvVxv
— ANI (@ANI) April 12, 2021
কমিশনের সিদ্ধান্তের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছেন ‘নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল দুপুর ১২টা থেকে আমি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরণায় বসছি।”
To protest against the undemocratic and unconstitutional decision of the Election Commission of India, I will sit on dharna tomorrow at Gandhi Murti, Kolkata from 12 noon.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 12, 2021
কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন? জানা গিয়েছে নির্বাচনী জনসভায় মঞ্চ থেকে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগি, সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করানোর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী কে ঘেরাও করার প্ররোচনা দেওয়া, হিংসায় উস্কানি দেওয়া এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
মুখ্যমন্ত্রীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে ওনাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল কমিশনের তরফ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীকে শোকজও করেছিল কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী জবাবও দিয়েছেন। কিন্তু কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাব দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি আসল বিষয় গুলোকেই কৌশলের মাধ্যমে এড়িয়ে গিয়েছেন। আর ওনার এড়িয়ে যাওয়া জবাব কমিশনের কাছে সন্তোষজনক নয়।
It is self-evident from the perusal of all reports that allegations mentioned in your hand-written note are factually incorrect, without any empirical evidence whatsoever&devoid of substance:ECI responds to CM Mamata Banerjee's reply over her appeal for votes along communal lines pic.twitter.com/azxct7cVo4
— ANI (@ANI) April 12, 2021
কমিশনের পর্যবেক্ষণে পাওয়া গেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের নির্বাচনী সভায় যে ধরণের মন্তব্য করছেন তা প্ররোচনা এবং উস্কানি দেওয়া। আর এরফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সবথেকে বড় অংশীদার ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও ওনার ওই প্ররোচনা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্যের ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে মত কমিশনের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনামূলক বক্তব্যগুলি কমিশন তাঁদের নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করেছে। সেখানে দেখান হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী কোথাও মুসলিমদের এক হয়ে ভোট ভাগাভাগি রুখতে বলছেন। আবার কোথাও বলছেন বিজেপি বাইরের রাজ্য যেমন অসম, উত্তর প্রদেশ থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে বাংলায়। আবার কখনও মুখ্যমন্ত্রী বলছেন মা-বোনেরা একদল হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করুন। এরপর একদল ভোট দিতে যান।
নির্বাচন কমিশনের সচিব রাকেশ কুমারের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আছেন। আর তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে যেভাবে প্ররোচনা দিচ্ছেন আর উত্তেজক কথা বলছেন তা আইনশৃঙ্খলার জন্য বিপদ। আর ওনাকে এই ধরণের মন্তব্যকে থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।