বাংলা হান্ট ডেস্ক: সত্তরের দশকে অবিভক্ত ভারতবর্ষ যখন দুটি বাংলা ভাগ হয়ে যায়। পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিম বাংলা। পশ্চিমবাংলা তখন নতুন নামকরণ হয় বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের সেখানে দেশভাগের সময় প্রায় ৪০% হিন্দু ছিল কিন্তু বর্তমানে তার সংখ্যা প্রায় কুড়ি শতাংশ কমে গেছে। কেন দিন দিন হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে কমে যাচ্ছে? এই নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সাম্প্রতিক সূত্র জানাচ্ছে বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সেই জন্য হিন্দুরা থাকতে পারছে না এবং সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি উদাহরণ উঠে এসেছে যেখানে। একাধিক হিন্দু মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, হিন্দুদের অত্যাচার করা হচ্ছে, সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তারপর তাদেরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারত সরকার একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারকে অভিযোগ করলো কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সাম্প্রতিক হাসিনা সরকার আসার পর কিছুটা পরিবর্তন এসেছে কিন্তু উৎসবের দিনগুলো যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় হিন্দুদের। ভারতবর্ষে যখন মুসলিমদের উপর যখন আক্রমণ হয়। তখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান এর মতন দেশ থেকে ভারতে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেওয়া হয়। দেশভাগের পর ভারতবর্ষের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তার অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতবর্ষ থেকেও অনেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তারা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মতো দেশকে সমর্থন করে, সাম্প্রতিক ভারতবর্ষের আরএসএস তারা হাসিনা সরকারকে কঠোর ভাবে বলেছেন যাতে বাংলাদেশে কোন হিন্দু নাগরিকের অত্যাচার না হয়। তারপর কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার, কারণ ভারত এখন পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী দেশ এবং এখানে আরএসএস বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে ক্ষমতা চালাচ্ছে বিজেপি। তাই সারাদেশ বিজেপি দিকে তাকিয়ে হিন্দুত্ব বজায় রেখেছে। যদি বাংলাদেশে কোন রকম ভাবে নির্যাতন করে হিন্দুদের বা সাম্প্রতিক কোন মন্দির ভাঙ্গা হয় তাহলে কঠোর মনোভাব নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ভারত।
এখন দেখার বিষয় ভারতের মুসলিমরা যেমন সঠিক পরিষেবা পায় এবং নিরাপদে আছে সেই রকম পরিষেবা বাংলাদেশের হিন্দুরা পাবে কিনা সেই দিকে তাকিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক। যদি হিন্দুদের অত্যাচার কোন ভিডিও বা কিছু ভাইরাল হয় তাহলে হিন্দুবাদী সংগঠন বাংলাদেশের দিকে আঙুল তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত দু-তিন বছরে আগের তুলনায় অনেক হিন্দুরা ভালো আছে বাংলাদেশে বলে বাংলাদেশের কিছু হিন্দু পরিবার জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক জন্যই সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে আছেন।