মোবাইলের সিম কার্ডে কেন কাটা থাকে একটি কোণ? পেছনে রয়েছে এই চমকপ্রদ কারণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের জীবনযাত্রায় ক্রমশ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ এমন কিছু কিছু উদ্ভাবন সামনে এনেছে যেগুলি আমূল পাল্টে দিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রকে। তার মধ্যে অন্যতম হল মোবাইল ফোন (Mobile Phone)। এদিকে, যত দিন এগিয়েছে ততই বিবর্তিত হয়েছে মোবাইল। এমনকি, বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকেই ব্যবহার করি স্মার্টফোন। যা সহজ করে দিয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একাধিক কাজ।

এদিকে, ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সিম কার্ড। কারণ, সিম কার্ডের সাহায্যেই মোবাইলে নেটওয়ার্ক উপলব্ধ হয়। যার মাধ্যমে আমরা কল, মেসেজ বা ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে পারি। এমতাবস্থায়, আপনি যদি কখনও একটি সিম কার্ডকে মনোযোগ সহকারে দেখেন, সেক্ষেত্রে দেখতে পাবেন যে, সেটির কোণার দিকে একটি অংশ কাটা রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন সিম কার্ডটি একটি কোণ থেকে কাটা থাকে? মূলত, এর পেছনে রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করছি। 

আগে স্বাভাবিক ছিল সিম কার্ড: বর্তমান সময়ে ভারত সহ সারা বিশ্বে একাধিক টেলিকম কোম্পানি রয়েছে যারা সিম কার্ড তৈরি করে। সমস্ত সিম কার্ডের কোণেই ওই কাটা দিকটি রাখা হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, একদম শুরুতে যখন সিম কার্ড তৈরি করা হত, তখন সেগুলিতে এই কাটা অংশটি দেখা যেতনা। কিন্তু, বর্তমান সময়ে প্রতিটি সিমেই এই গঠন পরিলক্ষিত হয় ।

জেনে নিন কারণ: এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠতে পারে যে, কেন সিম কার্ডে এই পরিবর্তন করা হল? মূলত, যখন সিম কার্ড বর্গাকার ভাবে তৈরি হত, তখন সিমের সোজা এবং বিপরীত দিকটি বুঝতে সকলেরই অসুবিধে হত। এমনকি, অধিকাংশ সময়ে উল্টো অবস্থাতেই সিম কার্ড ঢুকিয়ে দেওয়া হত ফোনে। এমতাবস্থায়, সেটি বের করে আনতে অনেক সমস্যায় পড়তে হত। পাশাপাশি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিমের চিপও নষ্ট হয়ে যেত।

WhatsApp Image 2022 08 30 at 1.38.15 PMএই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে টেলিকম কোম্পানিগুলি সিমের ডিজাইন পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এরপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি একটি কোণ থেকে সিম কার্ডগুলিকে কেটে দেয়। পরবর্তীকালে ওই কাটা অংশটিকে দেখেই মোবাইল ফোনে সিম কার্ড প্রবেশ করানো এবং বের করা সহজ হয়ে যায়। মূলত, সিম কার্ডটি কোণ বরাবর কেটে দেওয়ার কারণে একটি খাঁজ তৈরি হয় সেখানে। আর সেটি দেখেই করা হয় পার্থক্য নিরুপন। এখন এই ধরণের সিমেরই প্রচলন রয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর