কুয়ো সবসময়ই গোল! কিন্তু কেন? নেপথ্যের বৈজ্ঞানিক কারণ অবাক করবে আপনাকেও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জল সরবরাহের জন্য আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছে গেছে টাইম কলের সংযোগ। আবার অনেক বাড়িতে রয়েছে টিউব কল। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে বাড়িতে দেখা যেত কূপ বা পাতকুয়ো। মাটি খনন করে তৈরি করা হত এই ধরনের কূপ। বাড়ির যাবতীয় কাজে জলের প্রধান উৎসই ছিল এই কূপগুলি (Well)।

কুয়োর (Well) আকৃতির বৈজ্ঞানিক কারণ

এখন অনেক বাড়িতেই এই ধরনের কূপ (Well) আর দেখা যায় না। তবে গ্রামাঞ্চলে গেলে এখনো অনেক বাড়িতেই দেখা যাবে যেখানে বাড়ির যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে এই কূপের জলে। আপনারা হয়ত দেখেছেন যে সব কূপই (Well) হয়ে থাকে গোলাকার আকৃতির। এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে এই কূপ বর্গাকার, ষড়ভুজ বা ত্রিভুজাকার না হয়ে বৃত্তাকার বা গোলাকার কেন হল?

   

আরোও পড়ুন : ১২ দিন ক্লোজড ব্যাঙ্ক! ১৭ তারিখ খুলবে না স্কুল-কলেজ-অফিসের দরজা, আগেভাগেই দেখুন লিস্ট

আসলে আমাদের সমস্ত কাজকর্মের পিছনেই থাকে বিজ্ঞান। কূপের (Well) আকার কেমন হবে তার পিছনেও কাজ করেছে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা। আসলে কূপ বর্গাকার, ষড়ভুজ বা ত্রিভুজাকার আকারে তৈরি করা হলে সেটি বেশিদিন টিকত না। মূলত আয়ু বৃদ্ধি করার জন্যই কূপের আকার গোলাকার করা হয়। কূপের ভেতর থাকে প্রচুর পরিমাণ জল।

আরোও পড়ুন : আনিশার খেল খতম! ছদ্মবেশেই অপরাধীর মুখোশ খুলবে রানী! ফাঁস ‘তোমাদের রানী’র দুর্ধর্ষ পর্ব

তাই একটি কূপে (Well) যত বেশি কোণ থাকবে সেখানে জলের চাপও পড়বে তত বেশি। অত্যধিক পরিমাণ জলের চাপে ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যাবে সেই কূপের। বৃত্তাকার আকারের কূপের দেওয়ার পুরোটাই সমান গোলাকার হওয়ায় দেওয়ালের সব জায়গায় জলের চাপ একই থাকে। তাই এই ধরনের কূপ দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঠিক থাকে। সেখানেও কাজ করে এই বিজ্ঞান।

well

লক্ষ্য করে দেখবেন আমাদের বাড়িতে ব্যবহৃত বাটি, প্লেট, বালতি এবং থালার আকারও গোলাকার হয়ে থাকে। এবার কূপ যদি বৃত্তাকার বা গোলাকার তৈরি না করে বর্গাকার বা ত্রিভুজাকারে তৈরি করা হত  তাহলে তার কোণগুলিতে জলের চাপ এত পড়ত যে সেগুলি খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যেত। তাই জলের চাপ যাতে সব দেওয়ালে সমান থাকে সেই উদ্দেশ্যেই কূপের আকৃতি গোলাকার করা হয়।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর