বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে রাজ্যে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)! যতই দিন গড়াচ্ছে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য রোজ সামনে আনছেন তদন্তকারীরা। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বহুদিন জেলবন্দি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। সম্প্রতি কালীঘাটের কাকুর একাধিক ঠিকানায় একযোগ হানা দিয়েছিল ইডি। সেদিনই রাতভর তল্লাশি চালানো হয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps and Bounds) নামে এক সংস্থার অফিসেও।
প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশির পর মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে প্রচুর নথি, ১টি হার্ড ডিস্ক ও ১টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে চলে যান ইডি আধিকারিকরা। আর এর পরই উঠে আসে অভিষেকের নাম। ২৩ অগাস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইডি জানায়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আর সংস্থার CEO পদে রয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইডির এই দাবি যে মিথ্যে নয় তা কার্যত কালই প্রমাণ করে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘আমার অফিসে’ তল্লাশি হয়েছে। আর এদিন মঙ্গলবার হাইকোর্টের জোর প্রশ্নের মুখে ইডি-সিবিআই। অভিষেককে কেন সমন পাঠাচ্ছে না ইডি? দুর্নীতি মামলায় এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নের মুখে মুখে পড়তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: বিরাট ভেলকি! হঠাৎই রাজ্যের ৫ জেলায় তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস, আজই তোলপাড় হবে দক্ষিণবঙ্গ?
পাশাপাশি এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও রিপোর্টও তলব করলেন বিচারপতি সিনহা। এএদিন আদালতে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে l তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘ইডি রিপোর্ট দেখে জানতে পারলাম যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একজন সাংসদ, এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন।’
এরপরই তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনারা কি তাকে তলব করতে ভয় পাচ্ছেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন তলব করেননি কেন? কী তদন্ত হচ্ছে কে জানে? অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে তা ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে ইডিকে।’
আরও পড়ুন: নয়া মোড়! মেয়ের আইনজীবী কে জানেন না খোদ অনুব্রত, জেলে বসে যা চাল চালছে সুকন্যা…
এখানেই শেষ নয়। ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি আরও বলেন,” শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ই হুড়োহুড়ি হল। তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়লেন কেন? দুর্নীতির মাথায় কে? আপনারা নীচ থেকে তদন্ত শুরু করে উপরে উঠছেন! ওপর থেকে তদন্ত করতে আপনাদের কে বাধা দিচ্ছে? এত বড় দুর্নীতি একজনের মস্তিষ্ক প্রসূত হতে পারে না। অনেকে থাকতে পারে। তাদেরকে ধরতে আপনাদের সমস্যা কোথায় হচ্ছে? তদন্তে কি আদালত বাধা দিয়েছে নাকি অন্য কেউ বাধা দিয়েছে?”