বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিশেষ দিনে ট্রাম্পের বন্ধু নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকতে না পারলেও, ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আর এস জয়শঙ্করের মার্কিন সফরে যেন বাংলাদেশ (Bangladesh) সিঁদুরে মেঘ দেখছে। এবার কি তাহলে বাংলাদেশের খেলা শেষ হবে। হঠাৎ কি এমন হল যে এমন ভয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে?
এবার কি বাংলাদেশের (Bangladesh) খেলা শেষ হতে চলেছে?
জানা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস জয়শঙ্কর। টানা চার দিনের মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। চার দিনের মার্কিন সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। সেই সাথে নতুন প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করছেন তিনি। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে উঠে আসে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় সেই সময়।
ঠিক কি আলোচনা হয়েছে: জানা গিয়েছে বর্তমানে আমেরিকায় নতুন স্টেট সেক্রেটারি হয়েছেন মার্কো রুবিও। আর নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয়েছেন মাইক ওয়াল্টজ। চার দিনের মার্কিন সফরে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আরও পড়ুন: আম্বানির ধামাকাদার শপিং! Tata-Hindustan Unilever-কে টেক্কা দিয়ে কিনে ফেললেন এই কোম্পানি
আমেরিকার প্রশাসনের শীর্ষক-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্করকে জিজ্ঞেস করা হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের বর্তমানে সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করা হয়। এর প্রত্যুত্তুরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন যে, “হ্যাঁ, বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে অল্প আলোচনা হয়েছে। এর থেকে বেশি গভীরে আলোচনা করা উচিত নয়।”
আরও পড়ুন: আরও বিপাকে শান্তনু সেন! সাসপেন্ড হওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যেই বিরাট ধাক্কা
এমনকি এদিনের বৈঠকে আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাসে যে হামলা হয় সে বিষয়েও বিশেষ কিছু বলেননি তিনি। শুধু এইটুকু বলেছেন,”আমি এই বিষয়টি তুলে ধরিনি। তবে আমি বলতে চাই সান ফ্রান্সিসকোয় আমাদের কনসুলেটে হামলার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশা রাখি”। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রসঙ্গে তেমন কোনও বক্তব্যই রাখেননি। কিন্তু এর মাধ্যমেই কি তিনি অন্য কোনও ইঙ্গিত দিয়েছেন এই প্রশ্নও উঠছে।