বাংলা হান্ট ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীহরিকোটায় (Sriharikota) অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকেই অধিকাংশ রকেট উৎক্ষেপণ করে ISRO (Indian Space Research Organisation)। পাশাপাশি, গত ১৪ জুলাই এই স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। যেটি গত ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যে ৬ টা ৪ মিনিটে সফলভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে। এমতাবস্থায়, কখনও ভেবে দেখেছেন যে, কেন ISRO বারংবার রকেট উৎক্ষেপণের জন্য শ্রীহরিকোটাকেই বেছে নেয়? আসলে, এর পেছনে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যেগুলি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন সকলেই। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
জায়গাটি নিরাপদ: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা দ্বীপ আকারে খুবই ছোট। পাশাপাশি, সেখানে জনসংখ্যাও খুব একটা বেশি নয়। এছাড়াও, এখানে থাকা স্পেস সেন্টারটি জনপদ থেকে অনেকটা দূরে রয়েছে। আর সেই কারণেই রকেট উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটলে তাতে প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত: শ্রীহরিকোটায় স্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারটি নিরক্ষরেখার কাছে অবস্থিত রয়েছে। এদিকে, পৃথিবীর গতি নিরক্ষীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এই অঞ্চলে পৃথিবীর বেশি গতি রকেটের উৎক্ষেপণের জন্য সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটি স্পর্শ করল রোভার প্রজ্ঞান! ISRO-র শেয়ার করা ভিডিও দেখে শিহরিত হবেন আপনিও
পৃথিবীর ঘূর্ণন: আমাদের দেশের পূর্ব দিকে রয়েছে শ্রীহরিকোটা। এদিকে, পৃথিবী আবার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে। এমতাবস্থায়, পূর্ব দিকে এই দ্বীপ অবস্থিত হওয়ায় রকেট উৎক্ষেপণের সময় বেশি বেগ পেতে হয় না। আর এই কারণেই ষাটের দশকের শেষের দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটাকে রকেটের উৎক্ষেপণের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিশ্বের বেশিরভাগ লঞ্চ প্যাড এই কারণেই পূর্ব উপকূলে অবস্থিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪ দিন পর চাঁদে থাকবে না সূর্যের আলো! তখন কি করবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান?
রয়েছে সমুদ্র: শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার বঙ্গোপসাগরের ঠিক কাছেই রয়েছে। মূলত, উৎক্ষেপণের সময় রকেটে কিছু বুস্টারের প্রয়োজন পড়ে। যেগুলি সেটিকে দ্রুত গতি পেতে সাহায্য করে। যদিও, ওই বুস্টারগুলি নির্দিষ্ট সময় পর রকেট থেকে আলাদা হয়ে নিচে নেমে আসে। আর সেগুলিকে ফেলা হয় সমুদ্রে। যার ফলে দুর্ঘটনা এবং বিপদের আশঙ্কা কমে যায়। এছাড়াও, রকেট উৎক্ষেপণের পাশাপাশি সেগুলি পরিচালনা এবং ট্র্যাকিং করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে শ্রীহরিকোটায়। সর্বোপরি, রকেট উৎক্ষেপণের জন্য অনুকূল আবহাওয়াও থাকে এখানে। আর এই কারণগুলির জন্যই ISRO অধিকাংশ রকেট উৎক্ষেপণ করে শ্রীহরিকোটা থেকেই।