বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের শৌখিন বিশ্বে, প্রত্যেকের কাছেই Apple-এর মোবাইল (Apple iPhone), Macbook বা যে কোনো ডিভাইসই ব্যবহার করা অনেকটা স্বপ্ন পূরণের মতো। কারণ এগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ডিভাইস। সাধারণ মানুষদের পক্ষে এগুলি কেনা সবসময় সম্ভব না হলেও Apple-এর তৈরি প্রত্যেকটি জিনিসই সকলেরই পছন্দের তালিকায় এক্কেবারে ওপরে থাকে।
এই সংস্থা বর্তমানে তাদের পণ্যের জন্য সারা বিশ্বজুড়েই জনপ্রিতা অর্জন করেছে। তবে, অনেকেই Apple-এর বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করলেও এর অদ্ভুত লোগোটি সকলের মনেই প্রশ্নের উদ্রেক করে। নামে Apple হলেও সংস্থার লোগোটিতে থাকে একটি আধখাওয়া আপেলের ছবি। বর্তমান প্রতিবেদনে এই অবাক করা লোগোটি সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল।
প্রথমেই জানিয়ে দিই ১৯৭৬ সালে যখন সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন এর লোগো এরকম ছিল না। বরং সেখানে আইজ্যাক নিউটনের লোগো তৈরি করা হয়েছিল এবং উপরে একটি আপেলও ঝুলছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সালে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস নতুন লোগো ডিজাইনের দায়িত্ব দেন রব জ্যানফ নামে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে। তিনিই আধখাওয়া আপেলের একটি লোগো ডিজাইন করেন। তবে, সেই লোগোর রং ছিল রামধনু রঙের।
এই বিশেষ রঙের কারণ হিসেবে জানানো হয়, স্টিভ জোবস চেয়েছিলেন কোম্পানিটিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হোক। এই প্রসঙ্গে জ্যানফ বলেছিলেন যে, তিনি এই লোগোতে রামধনুর ক্রমানুসারে রং রাখেননি। যেহেতু পাতাটি শীর্ষে ছিল, তাই সবুজ রঙটি শীর্ষে রাখা হয়। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত Apple-এর লোগো এভাবেই রাখা হয়েছে। তবে তা, কখনও সম্পূর্ণ নীল, কখনও ধূসর আবার কখনও উজ্জ্বল ধূসর রঙে দেখা যায়।
এদিকে, CodesGesture নামের একটি ওয়েবসাইটের মতে, রব জ্যানফ একটি সাক্ষাৎকারে এই লোগোর আসল তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, লোগোতে আপেলটি কাটার কারণ ছিল যাতে লোকেরা সহজেই বুঝতে পারে যে এটি একটি আপেল। চেরি বা টমেটো নয়। এছাড়াও, রব আরেকটি কারণ দেখিয়ে বলেছিলেন, এই লোগোর মাধ্যমে তিনি মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁরা একটি আপেল থেকেই কামড় নিচ্ছেন। যদিও, সেই সময়ে একটি মতবাদ তৈরি হয়েছিল যে, আপেলের কাটা বাইটকে কম্পিউটারের বাইটের সাথে সংযুক্ত করে ওই লোগোতে দেখানো হচ্ছে!