কোন রহস্যের কারণে রাত্রি ১২ টায় বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া ব্রিজ? জানলে আঁতকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সৌন্দর্যের দিক থেকে আমাদের রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতার (Kolkata) জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, তিলোত্তমার একের পর এক ইতিহাস রীতিমতো অবাক করে দেয় সবাইকেই। এক সময় এখান থেকেই সমগ্র ভারতে ব্রিটিশরা তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল। এমনকি বর্তমানে দেশের অন্যতম এই প্রাচীনতম শহরটি ভারতে বেড়াতে আসা বিদেশি পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত পছন্দের হয়ে উঠেছে।

পাশাপাশি, এই শহরে থাকা একাধিক অবাক করা বিষয় সবাইকেই আকৃষ্ট করে। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক বিষয়ের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। মূলত, হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge) হল এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ এবং প্রবেশপথও বটে। এই সেতুটি অত্যন্ত সুন্দর। এমনকি, এই ব্রিজ সম্পর্কিত একাধিক তথ্য স্তম্ভিত করে দেয় আমাদের। এদিকে, প্রতিদিন রাত ১২ টায় বন্ধ হয়ে যায় এই ব্রিজ। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, কেন এটা করা হয়? চলুন জেনে নিই সেই কারণ।

হাওড়া ব্রিজ বন্ধ হয়ে যায় রাত ১২ টায়: পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার অন্যতম প্রবেশপথের মাধ্যম হাওড়া ব্রিজ হল হুগলি নদীর উপর নির্মিত একটি ক্যান্টিলিভার সেতু। হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন রাত ১২ টায় অল্প সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, রাত ১২ টার দিকে এই সেতু ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

পুরো সেতুটি মাত্র দু’টি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই সেতুটি স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শনের সাক্ষ্য বহন করছে। বৃটিশদের নির্মিত এই সেতুর প্রসঙ্গে একাধিক কাহিনিও প্রচলিত রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, হাওড়া ব্রিজে প্রতিদিন রাত ১২ টা নাগাদ কিছু সময়ের জন্য গাড়ি ও ব্রিজের তলা দিয়ে নৌকো চলাচল বন্ধ করা হয়। এই সেতুটি মাত্র ২৮০ ফুট উঁচু দু’টি স্তম্ভের উপর স্থাপিত রয়েছে। এই দুই পিলারের মধ্যে দূরত্ব হল দেড় হাজার ফুট। এমতাবস্থায় এটির ওপর বেশি ওজন থাকলে তা পড়ে যেতে পারে।

p 20161029 190824 largejpg

সেতু নির্মাণকারী ইঞ্জিনিয়াররা কি জানিয়েছিলেন: কথিত আছে, যে ইঞ্জিনিয়াররা হাওড়া ব্রিজ তৈরি করেছিলেন তাঁরা বলেছিলেন, ওই পিলারগুলি যদি কখনও পড়ে যায় তবে সেটি রাত ১২ টায় হবে। তবে, কেন তাঁরা এই কথা বলেছিলেন এর পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। যদিও, সেতু নির্মাণের পর ইঞ্জিনিয়াররা এই কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে এই বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং সেতুটিতে ওই নির্দিষ্ট সময়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর