কেন ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিনকে সবসময় চালু রাখা হয়? কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কোথাও সফরকালে বিশ্রামের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে আমরা বাস (Bus), গাড়ি (Car) কিংবা বাইকের (Motorcycle) ক্ষেত্রে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিতে দেখেছি। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু একটি ট্রেন (Train) কোথাও সফরকালে কোনো স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেও সেটির ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না। আমরা প্রত্যেকেই ট্রেনে চেপে যাতায়াত করলেও এই বিষয়টি হয়তো অনেকেই লক্ষ্য করিনি। মূলত, ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। তবে, এর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণও। যেগুলি জানার পর অবাক হয়ে যাবেন প্রত্যেকেই। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।

Why is the train's diesel engine always running

ট্রেনের ইঞ্জিন সবসময় চালু থাকে: এমনিতেই কোনো বড় স্টেশনে যখন দূরপাল্লার ট্রেন এসে থামে বা সেটি সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে তখন তার ইঞ্জিনটি কিন্তু বন্ধ করা হয় না। বরং, থেমে থাকার ট্রেনের ইঞ্জিন চালু রাখা লোকো পাইলটের একটি বাধ্যতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, ইঞ্জিনটি সচল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ডিজেল ইঞ্জিন এমনভাবে তৈরি করা হয় যে সেটিকে অল্প কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করা যায় না।

আরও পড়ুন: চমকাবে রাজ্যের ভাগ্য! কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হিরের খনির খোঁজ শুরু বিজ্ঞানীদের

এই কারণে ডিজেল ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না: এর পেছনে একটি বড় কারণ হল ট্রেনের ব্রেক সিস্টেম। আসলে, ট্রেনের ব্রেক প্রেশার সিস্টেমে কাজ করে। তাই, ট্রেনের ব্রেকগুলিতে প্রেশার বজায় রাখা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, ব্রেক সিস্টেমের সঠিক কাজ এবং প্রেশার বজায় রাখার জন্য ইঞ্জিনটি সচল রাখা হয়।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দুর্ভোগ এড়াতে এখনই জেনে নিন ছুটির দিন

এদিকে, একবার ব্রেক সিস্টেমের ত্রুটি হয়ে গেলে, সেটি মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগে। পাশাপাশি, প্রতিটি ডিজেল ইঞ্জিনে একটি ব্যাটারি থাকে। যা চার্জ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাটারিটি তখনই চার্জ হয় যখন ইঞ্জিন চালু থাকে। এই ব্যাটারি চার্জ না হলে ট্রেনের লোকোমোটিভ সিস্টেম “ফেল” হতে পারে। এইসব কারণেই ট্রেনের ইঞ্জিন সবসময় চালু রাখা হয়।

Why is the train's diesel engine always running

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ইঞ্জিন বন্ধ থাকলে আবার চালু করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। একটি বন্ধ ইঞ্জিন সম্পূর্ণরূপে চালু হতে এবং ট্রেন চালানোর জন্য সক্ষম হতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই সফরকালে ইঞ্জিন চালু রাখাই শ্রেয় বলে মনে করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর