বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিব সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-লয়রূপ তিন কারনের কারন, পরমেশ্বর- এটা তার প্রণাম মন্ত্রেই বার বার উঠে এসেছে। তিনি জন্মরহিত, শাশ্বত, সর্বকারণের কারণ; তিনি স্ব-স্বরূপে বর্তমান, সমস্ত জ্যোতির জ্যোতি; তিনি তুরীয়, অন্ধকারের অতীত, আদি ও অন্তবিহীন।
হিন্দু ধর্মালম্বীরা খুব আড়ম্বরে পূজা ও ভক্তি করে থাকি।পুরাণে ভগবান শিবের পোশাকের কথা বলা হয়েছে, যা অবাক করার মতো। ভগবান শিব গলায় সাপ, মাথায় চাঁদ, চুলের জটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গার স্রোত, হাতে ত্রিশুল দেখেছেন এবং এর সাথে ভগবান শিব বাঘের ছাল পরেন। কোন রহস্য লুকিয়ে আছে এর পিছনে, তা অনেকেই জানেন না।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, একবার শিব হাঁটতে হাঁটতে বনে গিয়েছিলেন। সেই বনে কয়েকজন ঋষি তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস । তিনি যখন বনে জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছিলেন তার পরনে কোনও পোশাক ছিল না। শিবের পুরুষালি চেহারা দেখে ঋষিদের স্ত্রীরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন।
শিবের সুন্দর চেহারার প্রতি দুর্বল এবং আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন বলে। তারা শিবকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন,পরিকল্পনা অনুসারে, ওইসব ঋষিরা মহাদেব শিবের ভ্রমণের পথে একটা বড় গর্ত খুঁড়লেন এবং তাতে একটি বাঘও ছেড়ে রাখলেন। কিন্তু মহাদেবের অসীম শক্তি সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না। তৎক্ষণাৎ বাঘটিকে হত্যা করে বাঘের ছাল ছড়িয়ে পরিধান করলেন। আর তখন থেকেই তিনি কেবলমাত্র বাঘের ছাল পড়ে থাকেন।
এই ঘটনা ঋষিরা দেখে আশ্চর্য হয়ে পড়ে এবং তারা বুঝতে পারে সে কোন সাধারণ মানুষ নন। সঙ্গে সঙ্গে তারা মহাদেবের চরণে লুটিয়ে পড়েন আশির্বাদ নেওয়ার জন্য।