বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় চলছে অনশন। দেখতে দেখতে দু’সপ্তাহ অতিক্রান্ত। এখনও সেখানে যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন আসছেন না? সম্প্রতি এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনশনকারীরা। এবার পাল্টা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এক্স হ্যান্ডেলে বিস্ফোরক কুণাল (Kunal Ghosh)!
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors) বলেন, ’১০ দফা দাবি মেনে নিতে এত কষ্ট! একবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারলেন না? ১৩ দিন ধরে শুধু জল খেয়ে বসে রয়েছি। প্রত্যেক ফোঁটা জলের হিসেব মাননীয়াকে দিতে হবে। শরীর ভাঙছে, কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। কাউকে এখানে অসম্মান করা হচ্ছে না। ন্যায্য দাবির জন্য লড়াই চলছে। কতদিন অনশন করতে হবে? আপনি বলুন। আপনাদের ভুলের মাশুল আমরা গুনছি’।
ওঁরা বললেন,” মুখ্যমন্ত্রী একবার আসতে পারলেন না?”
জবাব,” @MamataOfficial তো ধর্নামঞ্চে গেছিলেন। জ্যোতিবাবুর মত পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি। @MamataOfficial নিজের বাড়িতে বৈঠক করেছেন, নবান্নেও। আপনারা যখন যেখানে ইচ্ছে বসবেন, আর মুখ্যমন্ত্রীকে ততবার যেতে হবে? তদন্তে CBI, মামলা…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 18, 2024
এবার এই নিয়ে পাল্টা সরব হলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, ‘ওঁরা বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী একবার আসতে পারলেন না?” জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলেন। জ্যোতিবাবুর মতো পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি’।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্ল্যান হয়েছিল আগেই? CBI তদন্তে যা উঠে এল … ফাঁস হতেই তোলপাড় রাজ্য
কুণাল (Kunal Ghosh) আরও লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অফিসে বৈঠক করেছেন, নবান্নেও। যখন যেখানে ইচ্ছে আপনারা বসবেন, আর মুখ্যমন্ত্রীকে ততবার যেতে হবে? তদন্তে সিবিআই, মামলা আদালতে, পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে সরকার। সেখানে অনশন যুক্তিসঙ্গত নয়। কিছু লোকের প্ররোচনায় রাজনৈতিক চিত্রনাট্যে কয়েকটি ছেলেমেয়ের শরীরে চাপ দিয়ে অরাজকতার চেষ্টা হচ্ছে’।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর আড়াই মাস অতিক্রান্ত। তবে আন্দোলনের ঝাঁঝ এখনও একটুও কমেনি। আগামীকাল নাগরিক সমাজের তরফ থেকে দুপুর ২টো থেকে সোদপুর থেকে ধর্মতলা অবধি ন্যায়যাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় আবার সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে বসার কথা। সেখানে আন্দোলনের পরবর্তী গতিপথ ঠিক করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।