বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগেকার দিনে সরকারি যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন বা কাগজে নেতা, মন্ত্রী কিংবা পরিষদের কোন সদস্যের ছবি থাকা নিয়ে কোন বাধা নিষেধ ছিলনা। তবে 2015 সালের পর সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দেয়। সেই অনুযায়ী সরকারি কাজে প্রকাশিত কোন বিজ্ঞাপন কিংবা কাগজে কোন নেতা বা মন্ত্রীর ছবি দেওয়া চলবে না। পরে অবশ্য বিভিন্ন কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের এই নিয়মের বাইরে রাখা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে তাদের ছবি দেওয়া যেতে পারে বলে ধার্য্য করা হয়।
কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় লোকসভা নির্বাচনের বেশ কিছু বছর আগে থেকেই। তখন সবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়েছে। ঠিক তখনই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সংশাপত্রে থাকা বিভিন্ন নেতা,মন্ত্রীর ছবি দেওয়া নিয়ে। সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি বিতর্কের সৃষ্টি করে তা হল, কোরোনা ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি দেওয়া হবে কেন?
বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, বিরোধী দলগুলি এই ছবি থাকার বিষয়টিকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তোলেন এবং বিভিন্ন ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। এবং এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এর কাছে অভিযোগ জানান। এই অবস্থায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।সেই জটিলতার সমাধান করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনায় বসেন।
আরও পড়ুন:শেষ দাদাগিরি, আর দেখা যাবে না সৌরভকে! চলে এল গ্র্যান্ড ফিনালের দিন
এর কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয় যে, আদর্শ নির্বাচনী কমিশনের সাথে আলোচনা করে, সমস্ত আচরণবিধি মেনেই কোভিড ভ্যাকসিনের শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভারত সেমিফাইনালে উঠবেনা’, টি ২০ বিশ্বকাপের আগেই সেরা চারের নাম জানিয়ে দিলেন ভন
অবশ্য শুধু এটাই নয়, এর আগে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময় এই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়াতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের কোভিড ভ্যাকসিনের শংসাপত্র থেকে একপ্রকার বাধ্য হয়ে,বিতর্ক এড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।