ফুচকা খেয়ে কলেরায় আক্রান্ত একাধিক! জলে সংক্রমণ মেলায় নিষিদ্ধ হল বিক্রি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফুচকা মানে জিভে জল মুখে হাসি। ভূ ভারতে তো বটেই বলা ভালো পৃথিবীর এমন কোনো জায়গায় মানুষ নেই যিনি ফুচকাকে পছন্দ করেন না। রাজ্য ভেদে নানান নামে পরিচিত এই ফুচকা বরাবরই প্রবল জনপ্রিয় ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালেও। কিন্তু বিধিবাম! এবার কাঠমান্ডুর ভ্যালির ললিতপুর মেট্রোপলিস শহরে অতি জনপ্রিয় খাদ্য তালিকার মধ্য থেকে বাদ দেওয়া হল ফুচকাকে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো হঠাৎ কেন কাঠমান্ডুর ললিতপুরে নিষিদ্ধ করা হলো ফুচকা কে? কারণ হিসেবে প্রকাশে এসেছে সেখানে ভয়াবহ কলেরার সংক্রমণ। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, ১২ জন এই অতিমারিতে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার দিন ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটির তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, ফুচকার জলে ব্যাক্টেরিয়ার সন্ধান মিলেছে। মিউনিসিপ্যাল পুলিস প্রধান সীতারাম হাচেথু জানান, ভিড় এলাকা ও করিডর এলাকায় ফুচকা বিক্রির ক্ষেত্রে রাশ টানার চেষ্টা চলছে। তার জন্য আভ্যন্তরীণ সমস্তরকম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভ্যালিতে কলেরা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ডিজিজ কন্ট্রোল বোর্ডের পরিচালক চুমনলাল দাসের মতে, কাঠমাণ্ডুতে কলেরার পাঁচজন এবং চন্দ্রগিরি মেট্রোপলিস এবং বুধনীলকান্ত মেট্রোপলিসে একজন করে কলেরা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে টেকুর শুকরাজ ট্রপিক্যাল ও ইনফেকসিয়াস ডিজিস হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই, দুইজন কলেরা আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।

jpg 20220627 145429 0000

এদিকে, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করেই উল্লেখ করা হয়েছে, কোন ব্যক্তির শরীরে কলেরার উপসর্গ দেখা দিলে তিনি যেন অবিলম্বে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ডায়রিয়া, কলেরা এবং অন্যান্য জলবাহিত রোগ ছড়ায় বলে চিকিৎসকরা সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর