বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তই সংযুক্ত রয়েছে রেলপথের (Indian Railways) দ্বারা। পাশাপাশি, রয়েছে কয়েক হাজার রেল স্টেশন। যেগুলির অধিকাংশরই নামের পিছনে সেন্ট্রাল, টার্মিনাল বা রোড লেখা থাকে। অনেকে এগুলির অর্থও জানেন। কিন্তু আপনি কি কখনও এমন কোনো স্টেশন দেখেছেন যার নামের শেষে PH লেখা রয়েছে?
কেউ কেউ হয়তো এই ধরণের স্টেশন দেখেছেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এর অর্থ জানেন না। আসলে, এমন স্টেশন খুব কমই দেখা যায়। তবে, এই PH-এর পেছনে রয়েছে একটি চমকপ্রদ অর্থ। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
PH-এর অর্থ কি: জানিয়ে রাখি যে, PH-এর মানে হল “প্যাসেঞ্জার হল্ট”। যখন একটি রেল স্টেশনের নামের সাথে PH লেখা হয়, তখন তার মানে হল ওই স্টেশনে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন থামবে। এই স্টেশনগুলি বাকিদের থেকে একটু আলাদা হয়। কারণ এখানে রেলওয়ে কর্তৃক কোনো আধিকারিক বা কর্মচারী নিয়োগ করা হয় না। মূলত, প্যাসেঞ্জার হল্টগুলি হল ডি ক্লাস স্টেশন। এমনকি, এখানে ট্রেনগুলিকে থামার সঙ্কেত দেওয়ার জন্য কোনো সিগন্যালও থাকে না।
কিভাবে থামে ট্রেনগুলি: স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, স্টেশনে যখন সিগন্যাল নেই তাহলে সেখানে ট্রেন থামে কি করে? আসলে, ট্রেন চালকরা সাধারণত এই ধরণের স্টেশনগুলিতে প্রায় ২ মিনিটের জন্য ট্রেন থামানোর নির্দেশ পান। লোকো পাইলটরা তাঁদের বিবেচনার ভিত্তিতে এই স্টেশনগুলিতে ট্রেন থামান।
টিকিট পাওয়া যায় কিভাবে: এদিকে, আরও একটি প্রশ্ন মনে হতে পারে যে, যখন কোনো কর্মী ওই স্টেশনে উপস্থিত থাকেন না তাহলে টিকিট পাওয়া যায় কিভাবে বা কে এই টিকিট বিক্রি করেন? মূলত, এই ধরণের ডি ক্লাস স্টেশনগুলিতে, চুক্তি বা কমিশনের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করার জন্য রেল শুধুমাত্র একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ করে।
স্টেশনগুলি প্রায় বিলুপ্তির পথে: জানিয়ে রাখি যে, এই ধরণের স্টেশনগুলি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। রেল এগুলি থেকে বিশেষ কোনো লাভ পায় না। তাই স্টেশনগুলির প্রতি তাদের আগ্রহও কম। যদিও, স্থানীয় জনগণের দাবিতে এই ধরণের স্টেশনগুলি চালু রাখতে বাধ্য হচ্ছে রেল। পাশাপাশি, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরোনো রেল স্টেশনগুলিকেও ফের চালু করা হয়।