বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২৮৬ দিনের দীর্ঘ মহাকাশযাপনের পর ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৩ টে ২৭ মিনিট নাগাদ স্পেসএক্সের মহাকাশযানে চেপে ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। তবে আর পাঁচটা বিমানের মতো স্থলে ল্যান্ডিং না করে, কেন জলে ল্যান্ডিং করতে হল সুনীতাদের?
সুনীতাদের (Sunita Williams) জলে অবতরণ
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) থেকে স্পেসএক্স ক্যাপসুলে চেপে সুনীতারা (Sunita Williams) আনডকিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মঙ্গলবার রওনা দেন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে। ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিটে দীর্ঘ ১৭ ঘন্টার যাত্রার পর ফ্লোরিডার উপকূলে অবতরণ করে স্পেসএক্স ক্যাপসুলটি। তবে পৃথিবীর মাটির স্পর্শ না করে ক্যাপসুলটি অবতরণ করে সমুদ্রে।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা! এবার মহিলাদের ২১০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার! কারা সুবিধা পাবেন?
এই প্রক্রিয়াটি ‘স্প্ল্যাশডাউন’ নামে পরিচিত বিজ্ঞান মহলে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথায়, মাটিতে ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ঝুঁকি থেকে যায়। তবে স্প্ল্যাশডাউন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেকটাই নিরাপদে অবতরণ করানো যায় মহাকাশযানকে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সাথে সাথেই গতি বেড়ে যায় মহাকাশযানের। সেই গতি ধাপে ধাপে কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয় প্যারাসুট।
Splashdown confirmed! #Crew9 is now back on Earth in their @SpaceX Dragon spacecraft. pic.twitter.com/G5tVyqFbAu
— NASA (@NASA) March 18, 2025
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথায়, প্যারাসুটের মাধ্যমে উচ্চতা ও গতি অনুযায়ী ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয় অবতরণের গতি। এরপর যদি মাটিতে অবতরণ করানো হয় তাহলে ধাক্কা লেগে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকে। ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে মহাকাশচারীদের জীবন। তবে জলের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা অপেক্ষাকৃত অনেকটাই কম। সেই কারণে প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সব সময়।
সমুদ্রবক্ষ থেকে মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনতে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ। এই জাহাজের সাথে এসে জুড়ে যায় সুনীতাদের ক্যাপসুল। হাইড্রলিক পদ্ধতি ব্যবহার করে জাহাজে তোলা হয় মহাকাশচারীদের ক্যাপসুলটিকে। ক্যাপসুলের ভেতর থেকে ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৪টে ২২ মিনিট নাগাদ প্রথম বেরিয়ে আসেন নিক হগ। এরপর ক্যাপসুল থেকে একে একে বেরিয়ে আসেন আলেকজান্ডার গর্বুনভ, সুনীতা এবং বুচ।