৩০০-৪০০ জন ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্ত্র ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টার পরই গুলি, প্রকাশ্যে এলো প্রাথমিক রিপোর্ট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ  চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত বাংলা। কোথাও হামলা, তো কোথাও প্রাণহানী। সবমিলিয়ে ভোটগ্রহণ পর্ব হয়ে উঠেছে রক্তাক্ত। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। এমনকি আহত হন আরও ৫। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর আক্রমণ হলে, তাঁরা আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে পারবে বলে আগেই ছাড়পত্র দিয়েছে কমিশন। ফলস্বরূপ আজকের এই ৪ জনের প্রাণ হারানোয় ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে কমিশন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

ইতিমধ্যেই, নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘটনার সত্যতা শিকার করে নেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙার (Mathavanga) জোরপাকাটিতে এই গুলি চালানোয় অভিযুক্ত খোদ  বাহিনী (Central Force)। ঘটনায় ঘিরে গোটা এলাকা স্তব্ধ, স্তম্ভিত গোটা মাথাভাঙাও। মৃতদের নাম হামিদুল হক, হামিউল হক, নুর আলম,মনিরুল হক। এছাড়াও অন্তত পাঁচজন আহত। মৃতদের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক গুলি চালিয়েছে বাহিনী। ইতিমধ্যেই এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

WB Election 2021 উত্তপ্ত শীতলকুচি, গুলিতে নিহত ৪, আহত আরও ৪ | News - Daily News India

তবে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসে পৌঁছেছে, তাতে বলা হচ্ছে ৩০০-৪০০ গ্রামবাসী ঘিরে ধরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সেই সময় কয়েকজন বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনা নিয়ে উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ফোন করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে। গোটা ঘটনার খোঁজ নেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন : রক্তাক্ত শীতলকুচি, বুথের বাইরে বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

তবে তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) নির্দেশেই হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এমনকি এও বলা হয়, শান্ত হয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ভোটারদের কোনও কারণ ছাড়াই গুলি করে বাহিনী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। পরে আরও একজনের মৃত্যুর খবর আসে। এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দিল্লির নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) তুলোধোনা করেন। মহুয়া (Mohua Moitra) এদিন টুইট করে তোপ দাগলেন,’ ‘নির্বাচন কমিশনে যারা বসে আছেন তাঁরা এক একজন এক একটা পুতুল। মোদী-শাহের বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও ক্ষমতা নেই তাঁদের। গোটা দেশ চায় তাঁদের শোকজ করতে’।


সম্পর্কিত খবর