ট্রেনের বগির রঙ লাল-নীল-সবুজ হয় কেন, এর পিছনে রয়েছে অবাক করা এক কারণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেল পরিবহন হলো আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় পরিবহন মাধ্যম। আমাদের দেশে প্রতিদিন প্রায় কোটি কোটি মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব সহজেই যাতায়াত করে। অফিস টাইমে হোক কিংবা কোনো জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য রেল যাত্রা সবসময়ই মানুষের কাছে অতি পছন্দের। তবে ট্রেনে করে মানুষ ছাড়াও আমরা বিভিন্ন মালপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে পারি, যা আমাদের কাছে ‘মালগাড়ি’ নামে পরিচিত। কিন্তু ট্রেনের বগিতে লাল, নীল কিংবা সবুজ রঙ আমাদের চোখে পড়লেও এর পিছনে কারণ কি জানা আছে?

ট্রেনের লাল রঙের বগি আমাদের বেশি চোখে পড়ে। এই ধরনের কোচগুলিকে বলা হয় এলএইচবি ইন্টিগ্রাল কোচ। এই কোচগুলি আসলে নির্মাণ স্থল হলো জার্মানি এবং 2000 সালে সেই দেশ থেকে ভারতে আনা হয় এগুলি। বর্তমানে পাঞ্জাবের কাপুরথালা নামক অঞ্চলে এগুলি উৎপাদন করা হয়। এবার নির্মাণের কথায় আসলে দেখা যায় যে, এগুলি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয় এবং ট্রেনটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় 200 কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে।

এরপরেই আমাদের সামনে আসে নীল কোচের ট্রেন। এগুলোকে বলা হয় আইসিএফ ইন্টিগ্রাল কোচ। আমাদের দেশে প্রাচীনতম এই বগি লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় এবং অন্যান্য বগির তুলনায় অধিক ওজন বিশিষ্ট নীল কোচের ট্রেন সর্বোচ্চ 120 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ছুটতে পারে। তবে এটি কোন রকম বিদেশী কোম্পানী নয় বরং চেন্নাইতে 1952 সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে।

এরপর আসে সবুজ রঙের কোচ। গরিব রথ ট্রেনে এই ধরনের সবুজ কালারের কোচ ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সবুজ রঙের কোচ বিলিমোরা ওয়াঘাই প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ব্যবহার করা হয়, তবে এ ক্ষেত্রে সবুজ রঙ ছাড়াও বাদামী কালারেরও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর