বাংলা হান্ট ডেস্ক : দুজনেই এখন রাজনীতির উজ্জ্বল নাম যদিও তার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে কখনও ফাটল দেখা যায়নি। রাজনৈতিক সম্পর্ক যাই হোক না কেন বন্ধুত্বের সম্পর্ক আজও অটুট। তাই তো শুক্রবার ইডেনের মাঠে আন্তর্জাতিক দিন রাতের টেস্ট ক্রিকেট উপলক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাশাপাশি বসে হাসিনা ও মমতার খেলা দেখার খবর আগে থেকেই প্রকাশ্যে এসেছিল।
তাই তো দীর্ঘদিন পরে পুরনো বন্ধুকে দেখে কিছুটা হলেও উত্তেজিত ছিলেন মমতা, আর তাই মমতাকে দেখে তুমি এত ছটফট করে কেন? এক জায়গায় বসতে পারে না! এমনটাই বলে উঠলেন শেখ হাসিনা।যদিও মন্তব্যটা দেখা মাত্রই যে করে উঠেছেন হাসিনা এমনটা নয় কারণ দীর্ঘদিন ধরে যে ভাবে লড়াকু হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিতি রয়েছে তা থেকেই হয়তো হাসিনার এই মন্তব্য। 21 জুলাইয়ের এরপর থেকে কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বা গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেট সর্বত্রই যেন শহরের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন মমতা।
একদম তাই এক দিকে যেমন কোমর বেঁধে রাজনীতি সামলান ঠিক অন্যদিকে সংস্কৃতি মনস্কতা মমতার অন্যতম আরেকটি গুণ বলা যায়। শুক্রবার ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেট উদ্বোধন করেন হাসিনা এবং মমতা। ঘণ্টা বাজিয়ে দুই প্রধান খেলার উদ্বোধন করেন। এ দিন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে সচিন তেন্ডুলকার সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্থ সাক্ষাত ছেড়েছেন।
তবে দিদির মজা করে ধমকের জেরে কিন্তু মমতা এতটুকুও রাগ করেনি তাই তো মধ্যাহ্ন ভোজের নিজে না খেলেও দিদি শেখ হাসিনাকে অত্যন্ত যত্ন করে খাওয়ালেন তিনি। তবে দিদির কাছ থেকে এমন মন্তব্য শুনেই দিদি যে বেশ খুশি হয়েছেন তা বোঝা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এক গাল হাসি দেখে।