বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন স্ত্রী। শুধু তাইই নয়, সেই কাটা যৌনাঙ্গ নিয়ে থানাতেও হাজির হলেন অভিযুক্ত মহিলা। গুরুতর আহত অবস্থায় আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী। ভয়াবহ এই ঘটনায় কার্যতই চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ঢাকার গাজীপুর এলাকায়।
মাস পাঁচেক আগে প্রেম করেই বিয়ে হয় গাজীপুরের বাসিন্দা হনুফা এবং শরিফের। একটি পোষাক কারখানায় কাজ করেন শরিফ। তাঁদের দুজনেরই আগেও একটি করে বিয়ে রয়েছে। প্রথম পক্ষের বিয়েতে একটি ছয় বছরের মেয়ে রয়েছে শরিফের। হনুফার রয়েছে দুই ছেলে। সব সত্ত্বেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের পর একটি বাড়ি ভাড়া করে দিব্যি থাকছিলেন তাঁরা।
কিন্তু গোলমাল বাঁধে মঙ্গলবার। এদিন রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরলে শরিফকে এক গ্লাস দুধ খেতে দেন হনুফা। সেই দুধ কয়েক ঢোক খাওয়া মাত্রই ঘুমে লুটিয়ে পড়েন শরিফ। এরপরই মধ্যরাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। তারপর সেই কাটা যৌনাঙ্গ হাতে সোজা হাজির হন থানায়। সেখানে গিয়ে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘৫ মাস আগে শরিফকে ভালোবেসে বিয়ে করি। আমার আগের সংসারে স্বামী ও দুই ছেলেকে রেখে তাকে বিয়ে করেছি। সে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া করে। তাই আমি তাকে শিক্ষা দিতে এই কাণ্ড করেছি।’
এহেন খবর পাওয়া মাত্র ওই ভাড়াবাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শরিফকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর গাজিপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সবশেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। আপতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি।