বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফিরতেন স্বামী। দিনের পর দিন চলতো অত্যাচার। শুধু তাই নয়, কমবেশি রোজই স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতেন। আর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চরম পদক্ষেপ নিলেন স্ত্রী। এবার পাল্টা আঘাতে স্বামীকেই প্রাণে মেরে ফেললেন (Killed) তিনি। বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানার শ্যামদাসপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম সিন্টু আদক (৫০)। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সিন্টু আদক একটি মোটর গ্যারেজে কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী রীতা আদকের উপর চড়াও হত। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে সাত বছর আগে রীতা নিজের তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। এরপর তিনি ওই এলাকাতেই অন্য একটি বাড়ি ভাড়া নেন। সংসারের খরচ যোগাড় করতে বিড়ি বেঁধে উপার্জন করছিলেন। একটু একটু করে অর্থ সঞ্চয় করে মেয়ের বিয়েও দেন।
অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার দুপুরের সিন্টু মদ্যপ অবস্থায় রীতার বাপের বাড়িতে গিয়ে রণমূর্তি ধারণ করে। একাধিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি রীতা বাপের বাড়িতে ছুটে আসেন। এরপর রীতাকে দেখে রড, বল্লম তুলে খুনের চেষ্টা করে সিন্টু। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই রীতা কোনওরকমে স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর শুরু করেন। এরপর নিজেই থানায় যান। কিন্তু পরে বাড়ি ফিরে দেখেন মৃত্যু হয়েছে সিন্টুর।
ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃতদেহটি পাঠানো হয়। রীতা গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘এদিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেঁধে রেখে সামান্য মারধর করেছিলাম। তারপর নিজেই থানায় বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে বাড়ি ফিরে শুনলাম সিন্টু মারা গিয়েছে।’ যদিও, নিজে খুন করার কথা একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন রীতা দেবী।