বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC) দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির (ED) হাতে। সম্প্রতি আদালতের কাছে ইডির আইনজীবী দাবি করেন যে, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ১২০ কোটি টাকার তছরুপ হয়েছে। আর এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসলো, যাকে কেন্দ্র করেই উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন।
সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের বিরুদ্ধে পরিবারের একাধিক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসতেই তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। যদিও এটিকে বিজেপি এবং সিপিএমের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে পাল্টা মন্তব্য প্রকাশ করেছেন বিশ্বম্ভরের স্ত্রী রিনা মণ্ডল।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডল বর্তমানে কলকাতা পুলিশের এএসআই পদে নিযুক্ত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই বর্তমানে পরিবারের বহু সদস্যকে শিক্ষা দফতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি, এর মাঝে তাঁকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেও খবর সামনে আসতে থাকে। এদিন এ সকল অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্বম্ভরের স্ত্রী রিনাদেবী জানান, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। আমাদের শ্বশুরবাড়ি পূর্ব মেদনীপুরে; সেখানে সকলেই তৃণমূল করে। সেই কারণেই বিজেপি এবং সিপিএম যৌথভাবে আমাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করে চলেছে।”
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরে শ্বশুরবাড়ি হলেও বিশ্বম্ভর মণ্ডলের সঙ্গে হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন তাঁ স্ত্রী। বর্তমানে কলকাতা পুলিশে এএসআই পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিশ্বম্ভরবাবু। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরই হাওড়ার ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় সংবাদ মাধ্যমের একাংশ।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে পেশায় শিক্ষিকা রিনা মণ্ডল জানান, “কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে চাকরি দেয়নি আমার স্বামী। যারা যোগ্য, তারাই চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। তবে এভাবে আমাদের সম্মানহানি করার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। গত দশ বছর ধরে আমার স্বামী চাকরি করে চলেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে ও নিযুক্ত ছিল। তবে এখন যে সকল অভিযোগ উঠে চলেছে, তা কেবলমাত্র প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই। এগুলি বিজেপি ও সিপিএমের চক্রান্ত।”