বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বউ পালানোর ঘটনা বাংলা ও বাঙালির জীবনে নতুন নয় তবে চমক দেয় প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালানোর নতুন নতুন কায়দা-কৌশল, নাট্যজগতে হোক কিংবা ‘টুম্পা সোনা’ থেকে ‘জানলা দিয়ে বউ পালানো’-র মতো একাধিক বাংলা সিনেমায় এই পটভূমি যেন তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালকেরা আর সেই সকল সিনেমার চিত্রনাট্যকে হারিয়ে এক অভিনব কায়দায় বউ পালালো শ্বশুরবাড়ি থেকে আর সেই ঘটনার কথা জানলে অবাক হবেন আপনিও।
কি সেই ঘটনা? জানা যায়, বিয়ের পরের দিন অর্থাৎ কাল রাত্রির দিন পালানোর জন্য বেছে নেয় সদ্য বিবাহিত মহিলাটি এবং এক অভিনব কৌশলে শ্বশুর বাড়ির ‘পাঁচিল’ টপকে পালানোর চেষ্টা করে নববধূটি! সূত্রের খবর, অশোকনগরের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী 26 বছরের যুবকের সঙ্গে এই নববধূর বিবাহ সম্পন্ন হয় যে আবার কোন্নগরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর শুক্রবার ছিল তাদের কালরাত্রি ফলে স্বভাবতই পরিবারের নিয়মে একে অপরের মুখ দেখতে বারণ হওয়ায় বর আত্মীয়ের বাড়ীতে গিয়ে রাত্রি কাটায় এবং সেই সুযোগেই শ্বশুর বাড়ির পাঁচিল টপকানোর সুযোগ পায় নববধূটি।
তাকে পালাতে দেখা এক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটি জানালে সেই মুহূর্তে নড়েচড়ে বসে শ্বশুরবাড়ি মানুষজন এবং আত্মীয়রা আর দেরি না করে খোঁজাখুঁজি চালু করে এবং শেষে অশোকনগরের বাসস্ট্যান্ডে নববধূকে পাওয়া যায়। এখানেই থেমে থাকেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজন, পরমূহুর্তে পুলিশ প্রশাসনের কাছে খবর পাঠানো হয় এবং পুলিশের নির্দেশে বাপের বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় মহিলাকে। পরে জানা যায় মহিলাটি একটি ছেলেকে ভালোবাসতো এবং সেই প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে ধরেই পাঁচিল টপকাতে বাধ্য হয় সে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, কোলবালিশ এবং চাদর চাপা দিয়ে তবেই পাঁচিল টপকে পালানোর ছক কষে মহিলাটি এবং সেই লক্ষ্যে সফলও হয় সে কিন্তু শেষপর্যন্ত বাসের কন্ডাক্টরের সন্দেহ হওয়ায় বাস থেকে নামিয়ে দেয় তাকে এবং বাকিটা ইতিহাস!
স্বভাবতই, মাথায় হাত পড়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং তাদের আত্মীয়দের। অনেকে আবার মজার ছলে বলছেন, “বিয়েবাড়ির পর্ব শেষে বৌভাত খেতে যাওয়ার জন্য সব প্ল্যান রেডি ছিল কিন্তু বর্তমানে সবই মাটি হলো।”