বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অতীতে রাজমিস্ত্রি কিংবা টোটো চালকের সঙ্গে গৃহবধূর বাড়ি ছেড়ে পালানোর একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। তবে বর্তমানে ওপার বাংলা থেকে এক অদ্ভুত ঘটনার কথা এলো প্রকাশ্যে। যেখানে এক ফকির বাবার সঙ্গে পালিয়ে গেল গৃহবধূ! আর এই ঘটনায় বর্তমানে শোচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে তার স্বামী। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কি কারণ লুকিয়ে রয়েছে?
ঘটনার কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের ময়মনসিংহের টিকুরিয়া গ্রাম। কয়েকদিন পূর্বে ময়মনসিংহের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নিতে আসেন এক বৃদ্ধ ফকির। শ্রদ্ধার বসে তাকে নিজেও বাড়িতে থাকতেও দেয় শফিকুল। তবে পরবর্তী সময়ে যে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা অপেক্ষা করে রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি সে। উল্লেখ্য, স্ত্রী রাবিয়া খাতুন এবং তিন সন্তানকে নিয়ে সুখেই সংসার করত শফিকুল।
অভিযোগ, খেতা শাহ নামে ওই বুড়ো ফকিরটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই তার সেবাতে মগ্ন থাকে রাবিয়া বেগম আর সেই সেবাই যে পরবর্তীকালে একে অপরকে দুজনের আরও কাছে নিয়ে আসবে, তা ভাবতেই পারেননি শফিকুল। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত ২২ শে জুন বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাবিয়া খাতুন এবং সেখানে তার সঙ্গে সেই বৃদ্ধ ফকিরটিও যায়। তবে বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও তারা দুজনে কেউই বাড়ি না ফিরলে চিন্তিত হয়ে পড়ে শফিকুল এবং পরবর্তীতে তাদের কোন খোঁজ খবরও পাওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই খেতা শাহের মোবাইল বন্ধ থাকার সমস্ত ঘটনা প্রসঙ্গে বুঝতে আর দেরি হয়নি তার।
এরপরেই ওই ভুয়ো ফকিরের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান শফিকুল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি যাকে গুরু বলে বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলাম, সে যে প্রতারক হবে তা কখনোই আমার মাথায় আসেনি। আমার স্ত্রীকে নানাভাবে ও ভুল বুঝিয়েছে আর বর্তমানে কোথাও গিয়ে লুকিয়ে পড়েছে বলে মনে হয়। এটাও হতে পারে যে, আমার স্ত্রী হয়তো কোন বিপদের মধ্যে পড়েছে। বাড়িতে তিন সন্তানকে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। তারা সর্বদা মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলেও আমি কোনো উত্তর দিতে পারছি না। এমনকি বাপের বাড়িতে যাওয়ার সময় রাবিয়া আমার থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়েছিলো।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো ফকিরদের অপর একটি মোবাইলে ফোন করলে তার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে এক মহিলা ফোন ধরেন, তবে স্বামীর অবস্থান সম্পর্কে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। এই ঘটনায় স্থানীয় থানার পুলিশ দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।