বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্বামী মারা গেছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ফিরোজাবাদে (Firozabad)। সেখান থেকে বারবার তাই ফোন এসেছে পূর্ব বর্ধমানের ( Burdwan) গলসিতে সুজাতার মামার বাড়িতে কিন্তু লকডাউনের ফলে স্বামীকে শেষ দেখাও দেখতে পেলেন না সাড়ে চার মাসে আগে বিয়ে হওয়া সুজাতা।
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের রবিদাস নগরের অজয় গৌতমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই রাজ্যেরই মৈনপুরী জেলার ক্ষীরদপুর গ্রামের ফুলবতী গৌতম ওরফে সুজাতার। বিয়ের পরে তিনমাস তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করেন। তারপরে মাস দেড়েক আগে মা বাবা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে মামার বাড়িতে আসেন মেলা দেখতে। মামার বাড়িতে আসার পরে শুরু হয়ে যায় লকডাউন। ফলে সেখানেই আটকে পড়েন পরিবারের সকলে।
এক সপ্তাহ আগে সুজাতা জানতে পারেন যে তাঁর স্বামী অজয়ের জ্বর হয়েছে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারপর কয়েক বার ফোনে কথা হয়েছিল অজয় ও সুজাতার। তাঁকে বারবার বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করেন অজয়। কিন্তু লকডাউনে বাড়ি ফেরার কোনও উপায় না থাকায় সুজাতা দিন গুনতে থাকেন কবে লকডাউন উঠবে।
বৃহস্পতিবার সকালে মামার বাড়িতে খবর আসে অজয়ের খুব ‘বাড়াবাড়ি’ অবস্থা। ওই দিনই স্বামীর মৃত্যুর খবর আসে সুজাতার কাছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সদ্য স্বামীহারা সুজাতা গলসি থানায় যান উত্তরপ্রদেশে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেওয়ার জন্য। তবে সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন সুজাতা। আন্তঃরাজ্য সীমান্ত বর্তমানে সিল করা আছে। সেজন্য থানার পক্ষ থেকে কোনও কিছু করা সম্ভব নয় বলে জনিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয় এটি আন্তঃরাজ্য বিষয় হওয়ায় ব্লক প্রশাসন বা জেলা প্রশাসনের এক্তিয়ার নেই এব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার। একমাত্র রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর অনুমতি দিতে পারে।