পরপুরুষের সঙ্গে বৌয়ের প্রেম থাকলেও সেটা পরকীয়া নয়! নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Adultery) জেরে ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়ায় বহু দাম্পত্য। চরমে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর কলহ। এবার এই পরকীয়া নিয়েই বিরাট পর্যবেক্ষণ করল হাইকোর্ট (High Court)। উচ্চ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

খোরপোষ মামলায় কী বলল হাইকোর্ট (High Court)?

জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি খোরপোষ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার সূচনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের একটি পারিবারিক আদালতে। সেই মামলায় অন্তর্বর্তী খোরপোষ হিসেবে স্ত্রীকে ৪০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই জল গড়ায় উচ্চ আদালত (Madhya Pradesh High Court) অবধি। এবার সেই মামলাতেই বিরাট পর্যবেক্ষণ করলেন বিচারপতি।

হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি জি এস আহলুওয়ালিয়া বলেন, বিয়ের পর স্বামী ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারেন তিনি। তবে শারীরিক সম্পর্ক যদি না থাকে, তাহলে পরপুরুষের সঙ্গে থাকা সম্পর্ককে পরকীয়ার তকমা দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুনঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি…! জামিনের পরেই জোর ঝটকা! ফের বিপাকে নিয়োগ দুর্নীতির কুন্তল ঘোষ?

সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, পারিবারিক আদালতের খোরপোষ দেওয়া সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। তিনি দাবি করেন, পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী। সেই কারণে বৌয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব তাঁর নয়।

প্রথমেই সেই মামলা খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি জানান, স্ত্রী যদি কোনও প্রকার পরকীয়ার সম্পর্কে যুক্ত থাকেন, তাহলে তাঁর ভরণপোষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানাতে পারে স্বামী। এরপরেই পরকীয়ার সংজ্ঞা দিয়ে আদালত জানায়, কোনও শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই যদি পরপুরুষের সঙ্গে স্ত্রী থাকেন, তাহলে সেটাকে পরকীয়ার তকমা দেওয়া যায় না।

High Court

আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় এক হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করেন মামলাকারী ব্যক্তি। মাসিক আয় ৮০০০ টাকা। এদিকে পারিবারিক আদালতের তরফ থেকে স্ত্রীকে ৪০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির দাবি, পারিবারিক আদালতের নির্দেশ মতো তাঁর পক্ষে সেই খোরপোষ দেওয়া অসম্ভব।

মামলাকারী ব্যক্তির সেই দাবির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের (High Court) পর্যবেক্ষণ, সেই টাকায় তিনি যেখানে নিজের প্রয়োজন মেটাতেই অক্ষম। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন বিয়ে করেছিলেন? সেই কারণে যদি অক্ষমতা থাকে, তাহলেও স্ত্রীয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব ওই ব্যক্তিকেই নিতে হবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর