বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে টানাপড়েন আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবি জানাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা (Government Employees)। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র (DA) ২৫% মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের নিয়ে সামনে আসছে বড় আপডেট।
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) কবে দেবে সরকার?
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সাধারণত বছরে দু’বার করে ডিএ বাড়ায় সরকার। প্রথম দফায় তা জানুয়ারি ও দ্বিতীয় দফায় জুলাই থেকে তা কার্যকর করা হয়। তবে করোনার সময় প্রায় দেড় বছর মহার্ঘ ভাতা দেয়নি কেন্দ্র। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন অবধি ডিএ স্থগিত রাখা হয়েছিল।
একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তরফ থেকে এই তিন দফার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবি জানানো হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ দ্য জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কর্মীদের তরফে আবারও এই দাবি তোলা হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতে তৃণমূল একমাত্র দল… অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিত’! হঠাৎ কেন একথা বললেন সুকান্ত?
অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে বারবার দাবি, অতিমারী ও সেইসময় প্রবর্তিত নানান আর্থিক কল্যাণ প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট আর্থিক বোঝা বকেয়া ডিএ (DA Arrear) মেটানো কার্যত অসম্ভব করে তুলেছে। সরকার পক্ষের দাবি, অর্থনীতির ওপর করোনার প্রভাব ২০২০-২১ অর্থবর্ষের পরেও পড়েছে। যা পরবর্তী বছরগুলির বাজেট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করেছে।
এদিকে চলতি বছরই সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ২০২৬ সাল থেকে অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে কি নয়া পে কমিশন আসলে করোনাকালে স্থগিত ডিএ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? অনেকের মনে আবার উঁকি দিয়েছে এই জল্পনা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তরফ থেকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) মেটানোর লাগাতার দাবি জানানো হলেও কোনও কাজের কাজ হয়নি। সরকারের তরফ থেকে এখনও অবধি এই নিয়ে কোনও অফিশিয়াল বিবৃতি অথবা ঘোষণা হয়নি। ১৮ মাসের এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে পরবর্তীতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই দেখার।