আদানির একটা চালেই ঘুম উড়ল বাংলাদেশের! এবার অন্ধকারে ডুববে পড়শি দেশ?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতকে নিয়ে যতই আলটপকা মন্তব্য করুন না কেন মহম্মদ ইউনূস, বিভিন্ন জরুরি বিষয়ের জন্য এখনো এদেশের উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয় বাংলাদেশকে (Bangladesh)। আর এর মধ্যে অন্যতম বিষয় হল বিদ্যুৎ সরবরাহ। এখনো পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের আদানি গোষ্ঠীর উপরে নির্ভর করে রয়েছে বাংলাদেশ। আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ। কিন্তু আচমকাই তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ একটা অংশ অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ আদানির

ঝাড়খন্ডে রয়েছে আদানি পাওয়ার এর দুটি ইউনিট। এই দুই ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রতিটি ইউনিটেরই বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কয়লায় চলা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি গত ৮ ই এপ্রিল হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। দ্বিতীয় ইউনিটটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ আচমকা থেমে যায় শুক্রবার রাতে।  

Will Bangladesh again face load shedding due to adani

ফের অন্ধকারে ডুববে দেশ: এমতাবস্থায় আবারও বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হলে ফের একবার অন্ধকারে ডুবতে পারে দেশ। সেই পরিস্থিতি এড়াতে পেট্রোবাংলার কাছে অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণ কী? উল্লেখ্য, এর আগেও একবার বকেয়া টাকা না দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছিল আদানি সংস্থা। বিপাকে পড়েই ফের সরবরাহ পুরো করার জন্য আবেদন করেছিল ইউনূস সরকার। তবে কি এবারও বকেয়া টাকা না দেওয়ার জন্যই বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘কাট’ করে দিল আদানির সংস্থা?

আরো পড়ুন : বাংলাদেশের স্টাইলে লুঠপাট চলল ধুলিয়ানে! ওয়াকফ-বিরোধিতার মাঝেই শপিংমলে হামলা

কেন বন্ধ হল সরবরাহ: না, আসলে ব্যাপারটা অন্য। গোটা বিষয়টাকে যান্ত্রিক ত্রুটি হিসেবেই দাবি করা হচ্ছে। পিজিসিবি এবং পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, আগে বাংলাদেশ জাতীয় গ্রিডে ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করত আদানির প্ল্যান্ট। তারপর ৮ এপ্রিল প্রথম ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার পর ৭৫০ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। তবে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে একটি ইউনিট আবারও চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তেমনটা না হলে রবিবার থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ! শুভেন্দুর মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

পিজিডিবি এবং পিডিবি সূত্রে খবর, শনিবার সপ্তাহের শেষ হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা কম। এদিন দুপুর একটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছে ১৩,৫০০ মেগাওয়াটে। ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা গিয়েছে এদিন। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের হাল যে বেহাল হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X