বাংলাহান্ট ডেস্ক : শ্রীলংকার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে। মাত্রা ছাড়া ঋণ ও আর্থিক কেলেঙ্কারি শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়ায় পরিণত করেছে। মাত্রারিক্ত ঋণ পাকিস্তানকেও খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করল ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড ( International Monetary Fund) বা IMF। কিন্তু আইএমএফের এই ধরনের আশঙ্কার পেছনে ঠিক কি কি কারণ আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
কিছুদিন আগে ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড বা IMF একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বের ৪১ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হলো বাংলাদেশ। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সারা বিশ্বের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। এর ফলস্বরূপ আইএমএফ এর পক্ষ থেকে স্বীকৃতিও জুটেছে বাংলাদেশের। আইএমএফ এর তথ্য অনুযায়ী বিগত কয়েক বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশের। বৃদ্ধি পেয়েছে পার ক্যাপিটা ইনকামও।
কিন্তু সেই আইএমএফই এবার আশঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে। তার পিছনে অন্যতম বড় কারণ হলো বাংলাদেশের ঋণ।
বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে। সেই ঋণের সুদও বেশ চড়া। প্রসঙ্গত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে ঋণ নেওয়া একটা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। এর ফলে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলি চড়া সুদে ঋণ নিয়ে নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছে। এর ফলে সেই সংস্থাগুলিকে দিতে হচ্ছে মোটা পরিমাণ সুদের টাকা। এই সুদের টাকা মেটানোর ফলেই আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আইএমএফ এর ধারণা এই ঋণের ফাঁদে পড়েই হয়তো বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়তে চলেছে।
এছাড়াও রিজার্ভ ফরেক্স বা সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণও একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম একক। একটি দেশের কাছে যতটা পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চিত থাকে তাকেই বলা হয় রিজার্ভ ফরেক্স। এই রিজার্ভ ফরেক্স ডলার বা সোনা যা কিছুই হতে পারে। হঠাৎ করে এই বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় পরিমাণ কমে গেলে দেশে দেখা দিতে পারে অর্থনৈতিক মন্দা। সেক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের পরিমাণও দিন দিন কমছে বাংলাদেশে। এখন দেখার ভবিষ্যতে কি পরিণতি হয় বাংলাদেশের!