বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগেই জানিয়েছিলেন, বিজেপি একশো পেরোলে ভোট কুশলীর কাজ ছেড়ে দেবেন তিনি। বিজেপি একশো পেরোয়নি ঠিকই কিন্তু তাও নিজের পলিটিক্যাল এডের জীবন থেকে গাভাস্কারীয় রিটায়ারমেন্ট নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। অর্থাৎ সবাই যখন জিজ্ঞেস করছে এখন কেন? তখনই নিজের বুট তুলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু পিকে জানিয়েছিলেন তিনি না থাকলেও নিজের মত করে কাজ চালিয়ে যাবে আইপ্যাক। আইপ্যাকে আরো অনেক কুশলী কর্মীরা রয়েছেন, তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন সংস্থাকে। একুশের নির্বাচনে দিদির বিপুল জয়ের পিছনে ছিল আইপ্যাকের একের পর এক কর্মসূচি। ‘দিদিকে বল’, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রতিটি কর্মসূচিতেই একটু একটু করে ফের একবার ঊনিশের নির্বাচনের আঘাতে প্রলেপ লাগিয়ে ছিল তৃণমূল। তার ফল ফলেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। প্রায় ৫০০ জন কর্মী দু’বছর ধরে লাগাতার পরিশ্রম করে ছিলেন বাংলার বিভিন্ন এলাকায়।
ভোট পর্ব মিটতে তাই আইপ্যাকের কর্মীদের এক মাসের সবেতন ছুটি দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই ছুটি শেষ হচ্ছে এই সপ্তাহেই। এখন কোন লক্ষ্যে এগোচ্ছে। কর্মীদের অনেকেই বলছেন, মিশন ২০২১ ছিল একমাত্র লক্ষ্য। এখনো তাদের কাছে নতুন করে কোনো নির্দেশ আসেনি। গত দুবছর বিভিন্ন এলাকায় নির্দেশ মেনে কাজ করেছেন তারা। তাই যতক্ষণ না নির্দেশ আসছে ততক্ষণ অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করা সম্ভব নয়।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অবশ্য অন্য। তাদের ধারণা প্রশান্ত কিশোর সরে দাঁড়ালেও নয়া উদ্যমে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েই কাজ করবে আইপ্যাক। ইতিমধ্যেই টুইটারে বেশ কয়েকবার ট্রেন্ডিং উঠে এসেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলার দিদিকেই চাই’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবার সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপাবে আইপ্যাকও। হয়তোবা এখন লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারে দিল্লি চলো। এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও প্রশান্ত কিশোরের আগের ইন্টারভিউ দেখলেই বোঝা যায় তিনি বারবার বলেছেন বাংলার এই নির্বাচনে তৃণমূল হেরে গেলে দেশে বিরোধীদের আর কোন জায়গা থাকবেনা। দেশ ক্রমশ ‘ওয়ান পার্টি রুলের’ দিকে এগিয়ে যাবে। অনেকের মতে, এর মধ্যেই সূক্ষ্ম ইঙ্গিত ছিল আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৈরি করা। আইপ্যাকের এক নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি অনুযায়ী, আগামী দিনে এর জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের রণনীতি ব্যবহার করা হতে পারে। এখন এই জল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হয় সেটাই এখন দেখার।