বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাংলার (West bengal) রাস্তার হাল বেহাল। গত সোমবার এবং মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) নবান্নের বৈঠকে আমলাদের নিয়ে এবিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে হলেও, মুখ্যমন্ত্রীর ক্রোধের স্বীকার হলেন সকলেই।
বর্ষার প্রকোপে বহু জায়গার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। এরই মধ্যে আবার হুগলির বাসুবাটী এলাকা থেকে সিঙ্গুর স্টেশন পর্যন্ত এলাকার ট্রেকার রুটের চালকরা আর গাড়ি চালাতে চাইছে না। তাঁদের দাবি যতদিন না পর্যন্ত রাস্তা মেরামত হচ্ছে, তারা ততদিন অবধি যাত্রী পরিষেবা দেবে না।
আমলাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ
মহামারি করোনার কারণে বাংলার সড়ক যোজনার কাজ আপাতত স্থগিত। এরই মধ্যে আবার অভিযোগ উঠেছে, সরকারী খাত থেকে কাজের জন্য প্রাপ্ত টাকা ঠিকমত পৌছাচ্ছে না ঠিকা সংস্থার কাছে। যার জেরেই বন্ধ রয়েছে রাস্তার কাজ। এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এখনও কেন শেষ হয়নি বাংলার সড়ক যোজনার কাজ? যেসকল কর্তারা ঠিকা সংস্থার পেমেন্ট বাকি রাখছে, তাঁদের নাম সরাসরি ব্ল্যাকলিস্টেড করতে হবে। এইসমস্ত অভিযোগ নিজেদের নামে শুনতে লজ্জা লাগছে না!’
কাজের লক্ষ্যমাত্রার হিসাব
এসবের পরে মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে কষতে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত আমলাদের দিকে কিছুটা ক্ষোভ বর্ষণ করে তিনি বলেন, বীরভূমে ৭৫ কিমি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মাত্র ৯ কিমি কাজ হয়েছে। আবার ১৫০ কিলোমিটার টার্গেট ছিল বাঁকুড়ায় ক্ষেত্রে। কিন্তু সেখানে মাত্র ৩৫.৪২৩ কিলোমিটার কাজ হয়েছে। অন্যদিকে জঙ্গলমহলে ১৫০ কিলোমিটারের টার্গেট নিয়ে মাত্র ২৩ কিলোমিটার কাজ হয়েছে। এইসকল কাজের মাত্রা খুবই দুঃখজনক।
করোনা মধ্যেও নিজের বকেয়া কাজ শেষ করতে হবে
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে বহু আমলা তাঁদের নিজেদের কাজ থেকে বিরত থাকছেন। সঠিকভাবে কাজে মন দিচ্ছেন না, এরকম বহু অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আমলাদের কাজের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতেও কোন কাজ স্থগিত করা যাবে না। প্যানডেমিক দেখিয়ে অন্য কাজ বন্ধ রাখা কি সম্ভব? তাহলে কি আমরা জামা কাপড় কাচব না, স্নান করব না, শুধু ঘুমিয়ে থাকব, এটা কি কখনও সম্ভব? সব কাজের মত সড়ক যোজনার সরকারি প্রকল্পকেও দেখতে হবে, ঢিলেমি দিলে চলবে না’।